shono
Advertisement
West Bengal BJP

ঢুকছে বেনোজল, বাড়ছে অন্তর্দ্বন্দ্ব! 'যোগদান মেলা'য় সংযম চাইছে 'সাবধানী' বঙ্গ বিজেপি

মানা হবে না দলবদলুদের টিকিটের শর্তও।
Published By: Subhajit MandalPosted: 01:02 PM Nov 29, 2025Updated: 01:41 PM Nov 29, 2025

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ধুমধাম করে, ঢাকঢোল পিটিয়ে যোগদান করানো নয়। অন্য দলের নেতাদের দলে নেওয়ার আগে শুদ্ধিকরণ চাইছে বিজেপি। যারা যোগদান করছেন তাঁরা আদৌ বিজেপিতে (BJP) যোগদান করার যোগ্য কিনা, আদর্শগতভাবে তাঁরা বিজেপির সঙ্গে সহমত কিনা, এসব খতিয়ে দেখা হবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, এবারে যোগদানে কোনওরকম আড়ম্বর করা হবে না। যে মাপের নেতা, সেই আকারেই যোগদান অনুষ্ঠান করা হবে। সেটাও যতদূর সম্ভব অনাড়ম্বর।

Advertisement

একুশের ভোটের আগে বিজেপিতে যোগদান করানোর জন্য রীতিমতো আলাদা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। জেলায় জেলায় যোগদান মেলা করেছিলেন দিলীপ ঘোষরা। কলকাতার দলীয় দপ্তরে নিত্যদিন কোনও না কোনও তৃণমূল নেতা, ছোট বা মাঝারি মাপের সেলিব্রিটি এমনকী সিপিএম বা কংগ্রেসের ছোট নেতাদেরও যোগদান করানো হত। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দিল্লির দলীয় দপ্তরে নেতাদের নিয়ে গিয়েও যোগদান করানো হয়। একুশের ভোটের আগে চাটার্ড বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে পাঁচ নেতাকে যোগদানের মতো অভাবনীয় কাণ্ডও ঘটেছে। সেসময় বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এখন সময় বদলেছে। এবার দলের পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। দলবদলের ক্ষেত্রে এবার অনেকটাই সংযম চাইছে বঙ্গ বিজেপি।

বঙ্গ বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা মনে করছেন, অনেক ক্ষেত্রেই দলবদলুদের বাড়বাড়ন্তের জন্য নিজেদের মূল আদর্শ থেকে সরে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির। দলের অনেক নেতা গেরুয়া ভাবধারার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। ফলে দলের প্রচারে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বলা ভালো, অন্যদল থেকে ‘বেনোজল’ ঢোকা আটকাতে চায় গেরুয়া শিবির। সেকারণেই এবার অন্য দল থেকে দলে নেওয়ার আগে নেতাদের যাচাই করে নেওয়া হবে। সবাইকে আর যোগদানের সুযোগ দেওয়া হবে না। যাঁদের আদর্শগতভাবে দলের সঙ্গে মিল আছে। এবং যাঁদের দলে নিলে বিজেপির লাভ হবে, শুধু সেই সব নেতাদেরই নেওয়া হবে।

সম্প্রতি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বনসল। সেই বৈঠকে রাজ্য বিজেপির সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পলেরাও। সেখানেই নাকি সুনীল বনশল স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দলবদলের ক্ষেত্রে আর আড়ম্বর নয়। শুধু নামের পিছনে না ছুটে, যে সব নেতা সত্যি সত্যিই বিজেপির কাজে লাগবে সেসব নেতাকে দলে নিতে হবে। পাঁচ বছর আগের মতো আড়ম্বর করে ‘যোগদান মেলা’ আয়োজন করা হবে না। যে সব নেতা মণ্ডলস্তরের তাঁদের যোগদান সারা হবে মণ্ডল স্তরেই। কারও কারও ক্ষেত্রে জেলাস্তরে যোগদান হতে পারে। রাজ্য অফিসে খুব বড় যোগদান ছাড়া হবে না। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, টিকিটের শর্তে কাউকে যোগদান করানো হবে না। যে কোনও নেতাকেই যোগদান করার পর দলের কাজ করতে হবে। দল যদি যোগ্য মনে করে তবেই টিকিট দেওয়া হবে তাঁকে।

আসলে বঙ্গ বিজেপি আর কোনওভাবেই দলে 'বেনোজল' চাইছে না। একই সঙ্গে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে কোনও ফারাক নেই, এই আখ্যানকেও ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। এই দুটোই একুশে ভুগিয়েছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ধুমধাম করে, ঢাকঢোল পিটিয়ে যোগদান করানো নয়। অন্য দলের নেতাদের দলে নেওয়ার আগে শুদ্ধিকরণ চাইছে বিজেপি।
  • যারা যোগদান করছেন তাঁরা আদৌ বিজেপিতে (BJP) যোগদান করার যোগ্য কিনা, আদর্শগতভাবে তাঁরা বিজেপির সঙ্গে সহমত কিনা, এসব খতিয়ে দেখা হবে।
  • সবচেয়ে বড় ব্যাপার, এবারে যোগদানে কোনওরকম আড়ম্বর করা হবে না। যে মাপের নেতা, সেই আকারেই যোগদান অনুষ্ঠান করা হবে।
Advertisement