ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, ওড়িশা থেকে কেনা ওষুধের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজরদারি শুরু করল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। খুব শীঘ্রই এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করবে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। তবে তার আগে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। বুধবার স্বাস্থ্যভবনে দপ্তরের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত।

রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের কর্তাদের অভিমত স্রেফ ব্যাপক কমিশনের লোভে পড়ে ছোট পুঁজির ব্যবসায়ীরা জীবনদায়ী ওষুধ কিনে ডিসকাউন্ট দিয়ে কলকাতা সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা,হাওড়া , হুগলি তো বটেই কোলিয়ারি এলাকায় চুটিয়ে ব্যবসা করছে। বস্তুত ওইসব এলাকায় ওষুধের গুণগত মান দ্রুত চিহ্নিত করাও কঠিন। এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে ভেজাল ওষুধের কারবারিরা।
স্বাস্থ্যভবনের বক্তব্য, মোটা টাকার ডিসকাউন্টের লোভে অন্য রাজ্যের অজানা ব্যবসায়ী অথবা কারখানা থেকে যেন ওষুধ না কেনা হয়। যে সব ওষুধে কিউআর কোড থাকে না, সেই সব ওষুধের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক থাকার আবেদন ব্যবসায়ীদের। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে ৩০০টির মত ওষুধে কিউআর কোড থাকে,যেগুলো বড় বড় কোম্পানির তৈরি। কিন্তু সমস্যা হল এর বাইরেও অসংখ্য ওষুধ জাল হচ্ছে বলে সন্দেহ ড্রাগ কন্ট্রোলের। ভিনরাজ্যের ওষুধ বিক্রেতাদের লাইসেন্স, জিএসটি বিল সব কিছু আরো পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখার নির্দেশ।