shono
Advertisement

Breaking News

বিধানসভায় হেনস্তার অভিযোগ এনে স্পিকারকে বৈঠকের প্রস্তাব রাজ্যপালের, কড়া জবাব তৃণমূলের

মঙ্গলবার বিমানবাবুকে চিঠি পাঠিয়ে বৈঠকের প্রস্তাব দেন ধনকড়।
Posted: 09:34 PM Mar 08, 2022Updated: 10:44 PM Mar 08, 2022

দীপঙ্কর মণ্ডল: রাজ্যের বাজেট অধিবেশনে গিয়ে তাঁকে শাসকদলের মন্ত্রী ও বিধায়কদের হাতে হেনস্তা হতে হয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Biman Banerjee) সঙ্গে এ বিষয়ে তিনদিনের মধ্যে বৈঠকে বসতে চাইলেন তিনি। মঙ্গলবার বিমানবাবুকে চিঠি পাঠিয়ে এই প্রস্তাব দেন ধনকড়। তৃণমূল এ প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।

Advertisement

রাজ্যের শাসকদলের এক মুখপাত্র বলেন, “বিধানসভায় অধিবেশনের প্রথমদিন তৃণমূলের (TMC) মহিলা মন্ত্রী ও বিধায়কদের অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। তা ঢাকা দিতে চান রাজ্যপাল। আসলে উনি বিজেপির সঙ্গে চক্রান্ত করে অধিবেশনটাই ভেস্তে দিতে চেয়েছিলেন। ধরা পড়ে গিয়েছেন। নজর ঘোরাতে তাই এখন স্পিকারকে বৈঠকে ডেকে নাটক করছেন।”

[আরও পড়ুন: আন্দোলনে নেই, অথচ পদে আছে! কলকাতা সিপিএমে দাদাদের ‘দাদাগিরি’, ক্ষুব্ধ ছাত্র-যুবরা]

সোমবার বিধানসভায় বেনজির পরিস্থিতি তৈরি হয়। বক্তব্য পেশ না করেই বিধানসভা ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। বিরোধী বিজেপি বিধায়করা তাঁর ভাষণ শুরুর আগে থেকে চিৎকার করতে শুরু করেন। রাজ্যপাল চলে যাওয়ার উপক্রম করায় তৃণমূলের মন্ত্রী ও বিধায়করা তাঁকে থাকার অনুরোধ করেন। যাতে অধিবেশন না ভেস্তে যায় তা নিশ্চিত করতে তৃণমূল বিধায়করা প্রায় ঢাল হিসাবে দাঁড়িয়ে যান। এরফলে বক্তব্য পেশ না করে চলে যেতে পারেননি রাজ্যপাল। যদিও স্পিকারকে পাঠানো চিঠিতে শাসকদলের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও বিধায়কের নাম দিয়ে ধনকড় দাবি করেছেন, তাঁকে নিগ্রহ করা হয়েছে। এমনকী বিধানসভার মার্শাল তাঁর নির্দেশ মানেননি বলেও দাবি করেন রাজ্যপাল।

[আরও পড়ুন: অন্যের অসুবিধা করে নিরাপত্তা নয়, বাড়ির সামনের পুলিশি ব্যারিকেড সরানোর অনুরোধ অভিষেকের]

তৃণমূলের সম্মিলিত চাপে ছাপানো বক্তব্যের প্রথম ও শেষ লাইন পড়ে বিধানসভা ছাড়তে হয় রাজ্যপালকে। তৃণমূল বিধায়কদের বিরুদ্ধে তাঁকে ঘেরাও করার অভিযোগ করেছেন ধনকড়। রাজ্যপালকে নিগ্রহ করা হয়েছে বলে ইতিমধ্যে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এ নিয়ে রাজভবনে গিয়ে এফআইআর করার পরামর্শও দিয়ে এসেছেন তিনি। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, রাজ্যপালকে ‘হেনস্থা’ করার পরও কেন চুপ করে আছেন স্পিকার। ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর স্পিকারকে বৈঠকে ডেকেছেন রাজ্যপাল। এদিন টুইটে তিনি লেখেন, “বিধানসভার মতো পবিত্র জায়গায় এ ধরনের অপ্রীতিকর এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে স্পিকারকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement