সুদীপ রায়চৌধুরী: ২০০২ ডিজিটাল ভোটার তালিকায় ভোটারের নাম না থাকলেও কোনও বৈধ ভোটারকে হয়রানি নয়। তালিকার হার্ডকপিতে সেই ভোটারের নাম রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে ERO-কে। হার্ড কপিতে নাম থাকলে সেই বৈধ ভোটারকে অযথা শুনানিতে না ডাকার প্রস্তাব জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে সিইও দপ্তর।
রাজ্যের অধিকাংশ বুথেরই ২০০২ সালের ভোটার তালিকা ডিজিটালাইজ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু বুথের তালিকা না পাওয়া যাওয়ায় সেগুলি আপলোড করা সম্ভব হয়নি। এখন কোনও বৈধ ভোটার যদি ২০০২ সালের হার্ড কপিতে নাম খুঁজে পান, তাঁর নাম অনলাইনে না থাকলেও অহেতুক শুনানিতে ডেকে তাঁকে হয়রান করা যাবে না। এমনটাই পরামর্শ দিয়েছে সিইও দপ্তর। বলা হয়েছে, যেভাবেই হোক সংশ্লিষ্ট বুথের ২০০২ ভোটার তালিকার হার্ড কপি জোগাড় করে নাম যাচাই করতে হবে ERO-দেরই। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির সাহায্যও নিতে পারেন ইআরও।
এদিকে সূত্রের খবর, ৯ তারিখ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরদিন মৃত ভোটার, স্থানান্তরিত ভোটার, নিখোঁজ ভোটার, ভুয়ো ভোটার, নন রিফান্ডেবল (ফর্ম পেলেও জমা দেননি)- এই পাঁচটি শ্রেণিকে নিয়ে দ্বিতীয় একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই দ্বিতীয় তালিকা থেকে স্পষ্ট হবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে কত জনের নাম বাদ পড়তে চলেছে। সিইও দপ্তর থেকেই কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের। সেখানে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পরিষ্কার জানান, ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এনুমারেশন ফর্ম জমা না দিলে সেই সব ভোটার 'অসংগৃহীত' শ্রেণিতে পড়বেন।
জানা গিয়েছে, ৪ ডিসেম্বর রাত ১২টার মধ্যে ফর্ম জমা না দিলে, তাঁদের 'আনকালেক্টেবল' শ্রেণিতে পড়বেন বলে এদিন সব জেলাশাসককে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। সে ক্ষেত্রে তাঁরা খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়বেন এবং নতুন করে ৯ ডিসেম্বরের পর ফর্ম ৬ জমা দিয়ে নতুন ভোটার হিসাবে তালিকায় নাম তুলতে হবে।
