রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের পর পার্টির যুব সংগঠনের হাল কে ধরবেন, স্থির করতে গিয়ে চিন্তায় রাজ্য সিপিএম। মীনাক্ষীর বিকল্প কে, খুঁজে পাচ্ছেন না সিপিএম নেতৃত্ব। তরুণ প্রজন্মের আর কোনও নেতা-নেত্রীরই পার্টিতে মীনাক্ষীর মতো জনপ্রিয়তা নেই। পার্টিতে মীনাক্ষীকে কেউ বলেন ‘ক্যাপ্টেন’, কেউ বলেন ‘ব্র্যান্ড’। পার্টির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। এবার আরও দায়িত্ব বাড়ছে তাঁর। ফলে দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক পদ ছাড়তে হবে তাঁকে। পার্টির গঠনতন্ত্র অনুসারে পার্টির ও যুবর, দু’টো দায়িত্বে একসঙ্গে থাকতে পারবেন না মীনাক্ষী। ডিওয়াইএফআইয়ের পরবর্তী রাজ্য সম্পাদক কে হবেন, তা নিয়ে ফাঁপরে পড়েছেন সিপিএম রাজ্য নেতারা।

পার্টি সূত্রের খবর, দলের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদকের পদ সম্প্রতি ছেড়েছেন সৃজন ভট্টাচার্য। মীনাক্ষীর মতো জনপ্রিয়তা না হলেও সৃজন পার্টিতে তরুণ প্রজন্মের পরিচিত মুখ। তাই মীনাক্ষী পার্টিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলে সৃজনকে ডিওয়াইএফআইয়ের পরবর্তী রাজ্য সম্পাদক করার বলে দাবি উঠেছে সিপিএমের অন্দরে। কেউ কেউ আবার দিপ্সীতা ধরের কথাও বলছেন। কিন্তু দিপ্সীতা দলের দিল্লির কেন্দ্রীয় শাখার পার্টি সদস্য। ফলে তাঁকে যুবর দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু পার্টিগত সমস্যা রয়েছে। কাজেই পার্টির মুখ হয়ে ওঠা মীনাক্ষীর ঠিকঠাক বিকল্প নিয়ে চিন্তায় আলিমুদ্দিন।
এ বিষয়ে সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর দাবি, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই দলে এখন পরিণত। ফলে বিকল্প বাছতে কাউকে অসুবিধা নেই। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে পার্টির বিপর্যয়ের পর মীনাক্ষী-সহ দলের তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন বিকাশবাবুই। তা নিয়ে দলে বিতর্ক কম হয়নি। তবে মীনাক্ষীর বিকল্প খোঁজার ক্ষেত্রে তাঁর এই মন্তব্য যুবনেত্রীর পক্ষে না বিপক্ষে তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন, পার্টিতে মীনাক্ষীকে সকলে য়খন ‘ক্যাপ্টেন’ বলেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে কি একমত নন বিকাশবাবু।
প্রসঙ্গত, আগামী জুলাইয়ে মুর্শিদাবাদে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্মেলন বসছে। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক রয়েছেন মীনাক্ষী, সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা। বিকল্প মুখ কাউকে না পেলে রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতিকেই শেষমেশ যুব সংগঠনের সম্পাদক করতে পারে বঙ্গ সিপিএম।