সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধাননগরে সবুজ ঝড়। বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta) ও বিদায়ী মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী-সহ ৩৯ জন তৃণমূল প্রার্থী। কিন্তু এবার কে বসবেন মেয়র আসনে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সবমহলে।
মেয়র পদ নিয়ে লড়াইয়ে সব্যসাচী দত্ত আর কৃষ্ণা চক্রবর্তী (Krishna Chakraborty)। দু’জনই মমতার বহুদিনের সৈনিক। বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন কাঁধে কাঁধ রেখে। তবে একজন মাঝ পথে বদলেছিলেন রাস্তা। ২০১৫ সালে সব্যসাচী দত্ত যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। অনাস্থার চাপে বিধাননগরের মেয়রের পদ ত্যাগ করতে হয়েছিল সব্যসাচীকে। এরপরই কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে মেয়রের আসনে বসানো হয়েছিল। এসবের পর সব্যসাচীর ঘর ওয়াপসি হতেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। পুরভোটে যদি টিকিট পান সব্যসাচী, জিতে যান, সেক্ষেত্রে মেয়র হবেন কে?
[আরও পড়ুন: বিধাননগরে জয়ের পরই দলনেত্রী মমতার কাছে সস্ত্রীক সব্যসাচী দত্ত, পেলেন উপহারও]
সোমবার চার পুরনিগমের ফল স্পষ্ট হতেই মাথাচাড়া দিয়েছে সেই প্রশ্নই, কে হবেন বিধাননগরের পরবর্তী মেয়র? দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে কিছু জানাননি। তবে কৃষ্ণা চক্রবর্তী আগেভাগেই জানিয়েছেন, নেত্রীর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে প্রস্তুত তিনি। তার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষ্ণাদেবীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “ওর তো আমার বাড়ি থেকেই প্রেম, বিয়ে। ও খুব ভাল।”
এদিকে ফলপ্রকাশের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন সব্যসাচী। তারপর সস্ত্রীক হাজির হন কালীঘাটে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। ‘দিদি’র তরফে শাড়ি উপহারও পেয়েছেন সব্যসাচীর স্ত্রী। এরপর তাঁরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। এদিকে, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান কৃষ্ণা চক্রবর্তী। তারপর যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এই ঘটনায় স্পষ্ট, যে ভিতরে ভিতরে শুরু হয়েছে সব্যসাচী-কৃষ্ণার দড়ি টানাটানি। শেষমেশ কে বসবেন মেয়রের চেয়ারে? দল আলোচনা করেই সেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে আপাতত জারি থাকবে ধোঁয়াশা।