সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুষ্ঠিত হল ২০২৩-২৪ সালের ‘দ্য লেডিজ স্টাডি গ্রুপ চ্যারিটেবল ট্রাস্টে’র বার্ষিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান (Annual Award Ceremony 2023)। গত বৃহস্পতিবারের ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনিই ছিলেন প্রধান অতিথি। বক্তব্য রাখার সময় স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন, জীবনে নঞর্থক কিছুই নয়। সবটাই নির্ভর করছে দৃষ্টিভঙ্গির উপরে।
অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত হল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রূপান্তরণ ফাউন্ডেশন। আর্থ-সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মেয়েদের শিক্ষার সমর্থনে বিরাট অবদানের জন্যই এই পুরস্কার পেল ২০০৯ সালে স্থাপিত সংস্থাটি। স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) পুরস্কার তুলে দেন পুরস্কৃত সংস্থার দুই প্রতিনিধি স্মিতা সেন ও অভিষেককে। এদিনের অনুষ্ঠানে নৃত্য প্রদর্শন করে শিশুদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘একতারা’র শিশু সদস্যরা। সেই নৃত্যেও তুলে ধরা হয় সমাজ পরিবর্তনে শিশুকন্যাদের শিক্ষার গুরুত্বের দিকটি।
[আরও পড়ুন: অফিসের স্ট্রেস থেকেই রাজ্যে বাড়ছে সন্ধ্যার পথদুর্ঘটনা! সমীক্ষায় এল চাঞ্চল্যকর তথ্য]
তবে অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণীয় মুহূর্ত ছিল খেতাবজয়ী সাংবাদিক শ্বেতা পুঞ্জ ও আয়োজক সংস্থার সভাপতি ভাবনা আগরওয়ালের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথোপকথন। স্মৃতি বলেন, ”সাফল্য কখনও জীবনকে পরিবেষ্টন করে থাকে না।” সেই সঙ্গে তিনি স্মৃতিচারণ করেন তাঁর শৈশবের দারিদ্রের। জানান, কীভাবে দরিদ্রতা তাঁকে জীবনে ‘স্ট্রিট স্মার্ট’ হতে শিখিয়েছে। পরে স্মৃতি বলেন, ”জীবনে কিছুই নেতিবাচক নয়। আপনার লেন্স বা প্রিজমের উপর সব নির্ভর করে।” সাফল্য ও সুখের মধ্যে যে সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই, সেকথাও বলেন মোদি সরকারের সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী।
পরে ভাবনা আগরওয়াল বলেন, ”এই বছরের এলএসজি ট্রাস্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হল শিশুকন্যাদের শিক্ষার জন্য ভাল কাজ করার স্বীকৃতি হিসেবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের মেয়েরা শিক্ষিত হলেই নারীশক্তির বড় পরিবর্তন আসবে। এবং জাতির স্তম্ভকে মজবুত করবে। আর এভাবেই আমরা এগিয়ে চলব ‘বিকশিত ভারতে’র দিকে।” অনুষ্ঠানের একেবারে শেষে দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দেন স্মৃতি ইরানি। সামগ্রিক ভাবে এদিনের অনুষ্ঠান ছিল সাফল্যমণ্ডিত।