অর্ণব আইচ: অবসাদে আত্মঘাতী মহিলা চিকিৎসক। রবিবার হরিদেবপুরে (Haridevpur) নিজের ঘরেই আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর বিছানার পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোটও। প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশের ধারনা, গত কয়েক মাস ধরে অবসাদে ভুগছিলেন ওই চিকিৎসক। সেই অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা (Suicide) করলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা চিকিৎসকের নাম দেবিকা চট্টোপাধ্যায়। হরিদেবপুর অঞ্চলে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। কিছুদিন আগেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। এরপর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: পুজোর ভিড় সামলাতে নয়া ভাবনা কলকাতা পুলিশের, মণ্ডপের থিম অগ্রিম জানতে ‘গোয়েন্দাগিরি’!]
পরিবার সূত্রে খবর, গত কয়েক মাস ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন দেবিকা। প্রায়শই মাকে বলতেন, ভাল লাগছে না। বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করছে না। বাবা-মা তাঁকে বোঝাতেন। কিন্তু তারপরেও মনমরা হয়ে থাকতেন তিনি। রাত দু’টো নাগাদ মেয়ের ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁর মায়ের। এরপরই দরজায় ধাক্কা দেন তিনি। একাধিকবার মেয়ের নাম ধরেও ডাকেন। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর দেবিকার বাবা-মা মিলে কোনওক্রমে দরজা খুলে ঘরে ঢোকেন। ধরে ঢুকে দেখেন, ওড়নার ফাঁস দিয়ে সিলিং থেকে ঝুলছেন দেবিকা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। দেবিকাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানেো হয়েছে।
পুলিশের ধারনা, মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন দেবিকা। তাঁর বিছানার পাশ থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। যেখানে দেবিকা লিখে গিয়েছেন, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।