সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৫-র ৩১ জুলাই এসেছিল স্বাধীনতা৷ দেশ আর আত্মপরিচয় পেয়েছিল ছিটমহলবাসী৷ সেই স্বাধীনতার তিনবছর অতিক্রান্ত। এদেশের মানচিত্রে ঢুকে যাওয়া ৫১ জন সাবেক ছিটমহলবাসীর মধ্যে কিছু না পাওয়ার ক্ষোভও ছিল৷ নাগরিকত্ব পেলেও জোটেনি জমির অধিকার৷ ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড ও আধার কার্ড জুটলেও বেশ কিছু নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়েছে সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের৷তবে, আর বঞ্চনা নয়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এবার ছিটমহলের জমির অধিকার পেলেন বাসিন্দারা৷ দীর্ঘ আইনি জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে সাবেক ছিটমহলবাসীদের জমির মালিকানা দিল রাজ্য৷
[‘কেউ রথ আটকালে আগে মারুন, পরে পুলিশে দিন!’ ফের বেফাঁস মন্তব্য দিলীপের]
সম্প্রতি কোচবিহার সফরে গিয়ে সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াবেন বলে কথা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আর সেই কথা রেখেই সোমবার সাবেক ছিটমহলবাসীর জন্য উপহার ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ জমি অধিগ্রহণ আইনের সংশোধনী পাশ করানো হয়৷ বিলে ছিটবাসীদের জমির মালিকানা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়ে যায় বিলটি৷ রাজ্য সরকারের পেশ করা বিলের সৌজন্যে এখন থেকে জমির মালিকানা পাবেন ছিটমহলের বাসিন্দারা৷ প্রয়োজনে জমি কিনতে ও বিক্রিও করতে পারবেন তাঁরা৷ সোমবার এই বিল পাশ হওয়াকে ঐতিহাসিক আখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা ভূমিমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ছিটমহল বিনিময়ের পর বাংলাদেশি ছিটমহলগুলির ৯২২ জন বাসিন্দা ভারতের নাগরিকত্ব বেছে নেন৷ ভারতীয় ছিটমহলগুলিতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ২৩ হাজার ৩২৪ জন৷
[রাজ্যে কমছে স্কুলছুটের সংখ্যা, বিধানসভায় জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ]
কোচবিহার সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, সাবেক ছিটমহলবাসীর উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের যে টাকা দেওয়ার কথা ছিল সেটা আসেনি। কিন্তু উন্নয়নের কাজ থেমে নেই। রাজ্যের তরফে বাড়তি টাকা খরচ করে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে৷ সাবেক ছিটমহলবাসীর জমির মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল-সহ বিভিন্ন পরিষেবা দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কোচবিহারের প্রশাসনিক বৈঠকেই এই সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স জারি করে সাবেক ছিটমহলবাসীর জমির অধিকার দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷