অর্ণব আইচ: লালবাজারের এসটিএফ-এর সূত্র ধরেই মুম্বই থেকে গ্রেপ্তার হল লস্কর-ই-তৈবার এক জঙ্গি। ওই জঙ্গির নাম ফয়জল হোসেন মির্জা। মুম্বইয়ে সে নিজের বাড়িতেই ছিল। মুম্বইয়ের যোগেশ্বরী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[ প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত বাংলায় মৃত আট, উদ্বেগে মুখ্যমন্ত্রী ]
কুখ্যাত জঙ্গি এই ফয়জল। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ‘মুরিদকে’তে প্রশিক্ষণ নেয় সে। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, তাকে মুম্বইয়ে পাঠানো হয়েছিল দেশের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তাকে খুন এবং নাশকতা করতে। লালবাজার থেকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসটিএফ-এর গোয়েন্দারা তা মুম্বইয়ের গোয়েন্দাদের জানান। মুম্বইয়ের গোয়েন্দারা হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন। ফয়জলকে জেরা করে প্রশাসনিক কর্তাদের খুনের চক্রান্তের বিষয়ে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হতে চাইছেন। কলকাতার সঙ্গে ফয়জলের কোনও যোগসূত্র ছিল কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। তাকে জেরা করতে মুম্বই যেতে পারে এসটিএফ টিম।
[ শহরের গেস্ট হাউস থেকে গ্রেপ্তার পাচারকারী, উদ্ধার ৩২টি সোনার বিস্কুট ]
এদিকে আজই ইছাপুর রাইফেল কারখানা থেকে অস্ত্রপাচার-কাণ্ডে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। এসটিএফ-এর হাতে বিহার থেকে গ্রেপ্তার হল ওই পাচারকারী রাজেশ কুমার ওরফে মুন্না।পুলিশ জানিয়েছে, ইছাপুর থেকে অস্ত্র পাচারের ঘটনার তদন্ত শুরু করে জানা যায় যে, বিহারের অস্ত্র মাফিয়া গুড্ডু পণ্ডিতের এক মূল সহযোগী লুকিয়ে রয়েছে বিহারে। মুন্না নামে ওই পাচারকারী বিহারের নালন্দা জেলার লহেরি থানা এলাকার বাসিন্দা। কলকাতা থেকে এসএলআর বা ইনসাসের মতো যে অস্ত্রের অংশগুলি বিহারে পাচার হত, বিহারে সেগুলি জুড়ে আস্ত অস্ত্র তৈরির পিছনে ছিল মুন্নার হাত। চক্রের মাথা গুড্ডুর হয়ে মুন্না এসএলআর, ইনসাস, কার্বাইন তুলে দিত বিহারের মাওবাদী নেতাদের হাতে। গুড্ডুর গ্রেফতারির পর পালিয়েছিল মুন্না। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিহারে হানা দিয়ে তাকে ধরা হয়। তাকে জেরা করে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[ ইছাপুর অস্ত্র পাচার কাণ্ডে বিহার থেকে গ্রেপ্তার রাজেশ কুমার ]
তবে কলকাতার গোয়েন্দাদের আরও এক সাফল্য এই ফয়জলকে পাকড়াও করা। প্রশাসনিক কর্তাদের খুনের চক্রান্তে জড়িত ছিল সে। তার হিট লিস্টে কে কে ছিল, কীভাবে নাশকতার জাল বিছিয়েছিল ওই জঙ্গি, তাই এখন জানতে সচেষ্ট দেশের গোয়েন্দারা।