ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। যাতে সুপ্রিম কোর্টের কড়া মন্তব্যে কার্যত অস্বস্তিতে তিনি। এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাঁর পূর্ণ আস্থা আছে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
সোমবার থেকেই অভিষেকের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে তৃণমূলের ‘সংযোগ যাত্রা’। আগামী ৬০ দিন রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। শুরু কোচবিহার থেকে। আর কোচবিহারে উড়ে যাওয়ার আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলে দেন, “বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্ট যে পর্যবেক্ষণই দিক না কেন, আমি বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান করি। আইনের ঊর্ধ্বে কিছু হয় না। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, বিধায়ক, বিচারপতি- কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন সবার ঊর্ধ্বে, এটা সকলকে মানতে হবে। আইন আইনের মতো চলবে। তাই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”
[আরও পড়ুন: দিল্লি হাই কোর্টে মিলল না স্বস্তি, অনুব্রতকে আসানসোল সংশোধনাগারে আনার আবেদন খারিজ]
উল্লেখ্য, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আগামী শুক্রবারের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে, ওই দিনই পরবর্তী শুনানি। শিক্ষা দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের বয়ান অনুযায়ী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Abhishek Banerjee) জেরা করতে চেয়ে সিবিআইয়ের আবেদনের বিরোধিতা সংক্রান্ত মামলা সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। তাতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, শুক্রবার পর্যন্ত অভিষেককে জেরায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। অর্থাৎ নতুন কর্মসূচি শুরুতে স্বস্তিতে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগে জোর দিতেই এই নয়া কর্মসূচি তৃণমূলের। তাই অভিষেক বলে দেন, ‘‘আমরা বারবার রক্তপাতহীন নির্বাচনের কথা বলি। কিন্তু সেটা তখনই সম্ভব, যখন ভাল মানুষকে আমরা নির্বাচিত করতে সক্ষম হব। মানুষের নেতা কে হবেন, সেটা মানুষ ঠিক করবেন। কোনও বন্ধ ঘরে সেই আলোচনা হবে না।’’ অর্থাৎ সঠিক প্রার্থী বাছাই-ই লক্ষ্য অভিষেকের।