সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ সময়ের বিতর্ক পেরিয়ে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমিতে অবস্থিত মসজিদ নিয়েও হয়েছে মামলা। এবার ফোকাসে আরেক ইসলামিক স্থাপত্য কুতুব মিনার (Qutub Minar)। সেখানে ‘পুজোর অধিকার’ চেয়ে মামলা দায়ের হল সাকেত জেলা আদালতে। এদিনের শুনানির পরে বিচারক নেহা শর্মা পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন ২৪ ডিসেম্বর।
কিন্তু কেন কুতুব মিনারে পুজো করতে চেয়ে মামলা? আইনজীবী বিষ্ণু এস জৈনের দায়ের করা মামলার আবেদনে জানানো হয়েছে সেকথা। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ওই অঞ্চলে হিন্দু ও জৈনদের মন্দির ছিল। সেই মন্দিরগুলিতে যে দেবদেবীদের পুজো হত, তাঁদের বিগ্রহ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করারও আবেদন করা হয়েছে আদালতে। আবেদনকারীদের দাবি, এখানে মোট ২৭টি মন্দির (Temple) ছিল। তার মধ্যে অন্যতম জৈন তীর্থঙ্কর ভগবান ঋষভ দেবের উপাসনাস্থল-সহ ভগবান বিষ্ণু, গণেশ, শিব, সূর্য, হনুমান, দেবী গৌরীর মন্দির। ১৮৮২ সালের ট্রাস্ট অ্যাক্ট অনুসারে, কেন্দ্রীয় সরকারকে কুতুব মিনার চত্বরের মধ্যে অবস্থিত মন্দিরের পরিচালনার জন্য ট্রাস্ট গঠন করার নির্দেশ দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে পিটিশনে।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় বোমায় দাউদাউ করে জ্বলেছিল করাচি বন্দর, ৭১-এর বিভীষিকা আজও ভোলেনি পাকিস্তান]
কিন্তু কেমন করে জানা গেল এখানে ২৭টি মন্দির রয়েছে? আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তৈরি সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের কথা। দাবি, সেখানে বলা হয়েছে, বারোশো শতাব্দীতে কুতুবুদ্দিন আইবকের সাম্রাজ্য স্থাপনের আগে এখানে ২৭টি মন্দির ছিল। যা ধ্বংস করে দিয়ে সেই চত্বরে কুয়াত-উল-ইসলাম মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, কুতুব মিনার ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’-এর অন্তর্গত। ইঁটের তৈরি মিনারের মধ্যে এটিই বিশ্বের দীর্ঘতম মিনার। দৈর্ঘ্য ৭২.৫ মিটার। এখানে রয়েছে ৩৭৯টি ঘোরানো সিঁড়ি।