তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: পাহাড়ি ঝরনার জল খেতে গিয়ে শ্বাসনালীতে ঢুকে গিয়েছিল জোঁক (Leech)। এভাবেই ১৫ দিন ধরে সেই জোঁক জীবিত অবস্থাতেই আটকে ছিল শ্বাসনালীতে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ (NB Medical College) ও হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগে বুধবার রাতে অস্ত্রোপচার করে সেই জোঁক বের করেন চিকিৎসকরা। রীতিমতো মৃত্যুর মুখ থেকে ওই ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনলেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অসুস্থ ওই ব্যক্তির নাম সাজিন রাই, বয়স ৪৯ বছর। তিনি মিরিকের (Mirik) বাসিন্দা। ১৫ দিন আগে একটি ঝর্ণা থেকে জল খেতে গেলে জোঁকটি তাঁর গলায় আটকায়। পরে সেটি শ্বাসনালীতে চলে যায়। তারপর থেকেই তাঁর তীব্র অস্বস্তি হচ্ছিল। অস্বস্তি কাটাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দ্বারস্থ হন তিনি। ওইদিন সকালে ভরতি হন তিনি। অস্ত্রোপচার (Operation) হয় তাঁর। নাক-কান-গলা (ENT) বিভাগের চিকিৎসক রাধেশ্যাম মাহাতো, সৌমিক দাস, গৌতম দাস, সৌমেন্দু ভৌমিক, মনিদীপা সরকার, তুহিন শাসমল, আজাহুরুদ্দিন এবং অজিতাভ সরকারের এক চিকিৎসকদল প্রায় দেড় ঘন্টার অস্ত্রোপচারের পরে ওই জোঁকটিকে বের করা সম্ভব হয়।
[আরও পড়ুন: তাওয়াং পরিস্থিতির মধ্যেই মুখোমুখি ভারত-চিন, সীমান্তে বৈঠক সারল দুই দেশের সেনা]
এছাড়া অ্যানেস্থেশিয়া টিমের নেতৃত্বে ছিলেন চিকিৎসক অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়। সাফল্যের সঙ্গে গলা থেকে জোঁকটি বের করায় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে, চিকিৎসকদের দাবি, এই অস্ত্রোপচার বিরলতম ঘটনা। রাধেশ্যামবাবু বলেন, “আমার প্রায় ৪০ বছরের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার সময় আমি কখনওই পনেরো দিন ধরে জোঁক শ্বাসনালীতে জ্যান্ত অবস্থায় থাকতে দেখিনি। এটি একটি বিরল (Rare) ঘটনা। বর্তমানে ওই রোগী সুস্থ আছেন।” সাজিনবাবু বলেন, “আমরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।”