বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: পদ্মভূষণ তালিকায় নাম ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও ফোন পাননি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee), সাফ জানাল সিপিএম। মঙ্গলবার দুপুরে বুদ্ধবাবুর বাড়িতে কেন্দ্রের প্রতিনিধি ফোন করেছিলেন বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা মিথ্যা বলেই দাবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর। সেইসঙ্গে পদ্ম পুরস্কারের তালিকা নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করেছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি। “বুদ্ধবাবু যোগ্য বলেই পদ্মভূষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। পছন্দ নয় তাই প্রত্যাখ্যান করতেই পারেন”, মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্র পদ্ম তালিকা ঘোষণার পরই প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। “আগে কিছুই জানানো হয়নি। আমি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছি”, বিবৃতিতে জানান তিনি। শোনা গিয়েছিল, পদ্ম তালিকা প্রকাশের আগে সেদিন দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বুদ্ধবাবুর বাড়িতে ফোন আসে। পুরস্কারের কথা জানিয়ে তাঁর মনোভাব জানতে চাওয়া হয়। পুরস্কার ঘোষণার পর সিদ্ধান্ত জানান বুদ্ধবাবু। ফলে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন, মনোভাব জানাতে এত সময় লাগল কেন বুদ্ধবাবুর। জবাবে পদ্ম পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের তালিকাকে সামনে এনে পালটা যুক্তি সাজিয়েছে সিপিএম।
[আরও পড়ুন: ৭৩তম সাধারণতন্ত্র দিবসে কলকাতার রাজপথে ‘নেতাজি’, কুচকাওয়াজে উপস্থিত মমতা-ধনকড়]
সুজন চক্রবর্তীর কথায়, “আসলে বিজেপি বাংলার মনন বা সংস্কৃতি বোঝে না। শিশির ভাদুড়ী, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, তারাপদ চক্রবর্তী, বাদল সরকার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা বাংলার পরম্পরা বোঝে না আর বিজেপি নেতারা বোঝেন, এটা বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে না।” বুদ্ধবাবুর বাড়িতে ফোন আসা নিয়ে সুজনের জবাব, “বুদ্ধবাবু বলেছেন, তাঁকে জানানো হয়নি। সেটাই বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে।” বুদ্ধবাবুর বক্তব্য তৃণমূল বা বিজেপির যে কোনও নেতৃত্বের তুলনায় অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করেন সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির এই সদস্য।
আলিমুদ্দিনের দাবি, ফোনের কথা তৃণমূল ও বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে রটাচ্ছে। আসলে বুদ্ধবাবুর মতো মানুষরা কয়লা চুরি, ত্রাণ চুরি বা পাথর খাদান থেকে তোলা আদায়ের জন্য রাজনীতি করেন না। এটা এই দুই দলের নেতৃত্ব ভালই বোঝেন। তাই মোদি হোক বা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, রাজনীতির স্বার্থে বুদ্ধবাবুদের মত মানুষের নাম ব্যবহার করেন।