সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হল সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার এক হ্যান্ডেলারকে। হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব নামে ওই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। জানা গিয়েছে, ওড়িশার কেন্দ্রপাড়ায় বাড়ি ওই ব্যক্তির। বেশ কয়েকদিন ধরে সে সৌদি আরবের রিয়াধে থাকত।
[ স্বাধীনতা দিবসের আগেই পুলিশের জালে জঙ্গি, উদ্ধার গ্রেনেড ও নগদ টাকা ]
এনআইএ সূত্রে খবর, লস্কর-ই-তইবার সন্ত্রাসবাদী শেখ আবদুল নইম ওরফে নমির হ্যান্ডলার ছিল হাবিব। নইমকে ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। বাংলাদেশ দিয়ে তিনজনকে অনুপ্রবেশ করানোর সময় ধরা পড়ে সে। অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি ও একজন কাশ্মীরি জঙ্গি। ২০১৪ সালে কলকাতা থেকে মহারাষ্ট্রের একটি আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় পালিয়ে যায় নইম। এরপর সে হ্যান্ডেলারদের সাহায্যে কাজকর্ম চালায়। এই হ্যান্ডেলাররা সৌদি আরব ও পাকিস্তানে বসে কাজ করে। তাদের মধ্যেই একজন ছিল হাবিব।
[ ফের পিছোল পঞ্চায়েত মামলার রায়দান, অনিশ্চিত ২০ হাজার প্রার্থীর ভবিষ্যৎ ]
লস্কর-ই-তইবার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল নইম। কোথায় কোথায় বিস্ফোরণ ঘটানো যায়, তা ঠিক করার কাজ ছিল তার উপর। এর জন্য একাধিক ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়েছিল সে। জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ ও চণ্ডীগড়ের মতো অনেক জায়গাতেই তার যাতায়াত ছিল। এই সব রাজ্যের কোন কোন জায়গায় সন্ত্রাসবাদী হানা করা যায়, তার ছক কষা ছিল তার প্রধানতম কাজ।
শেখ আবদুল নইমের জন্য টাকা জোগাড়ও করার দায়িত্বও ছিল হাবিবুর রহমানের উপর। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি আমজাদ ওরফে রেহান তাকে নির্দেশ দিত। পাকিস্তান থেকে এই নির্দেশ আসত।
২০১৭ সালের নভেম্বরে ফের নইমকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। তখন যে চার্জশিটটি ফাইল করা হয়েছিল, তাতে আরও ১০ জনের নাম ছিল। তার মধ্যে ছিল হাবিবুর রহমানও।
[ কোথায় জন্মেছেন বিপ্লব দেব? মুখ্যমন্ত্রীর উইকিপিডিয়া ঘিরে বিতর্ক ]
The post বড়সড় সাফল্য এনআইএ-র, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার লস্কর জঙ্গি appeared first on Sangbad Pratidin.