বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: দলত্যাগী বিধায়ক মুকুল রায়ের (Mukul Roy) সদস্যপদ খারিজের চিঠি আজও জমা পড়ল না বিধানসভায়। অধ্যক্ষ না আসায় চিঠি জমা করা যায়নি বলে বিরোধী দলের তরফে জানানো হয়। তবে কমিটি নিয়ে শাসক-বিরোধী টানাপোড়েন অব্যাহত। জটিলতা কাটাতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে পরিষদীয় মন্ত্রীর ফোনে কথা হয় বলে পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে জানানো হলেও অস্বীকার করেন মন্ত্রী। আগেই জানান, মুকুল রায়ের সদস্যপদ খারিজের জন্য যতদূর যেতে হয় ততদূর যাবেন।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এসে দুই আইনজীবী ও এক বিধায়কের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর চিঠি লেখা হলেও বিধানসভায় তা জমা পড়েনি। জানা গিয়েছে, স্পিকার না আসায় এবং রিসিভিং সেকশন বন্ধ থাকায় চিঠি জমা করা যায়নি। এছাড়াও চিঠিতে কিছু ভুলত্রুটি থাকাও জমা না পড়ার আরও একটি কারণ। শুক্রবার অধ্যক্ষের কাছে চিঠি জমা দেওয়া হবে বলে বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে জানানো হয়েছে। বিরোধী দলনেতা জানান, আজ চিঠি জমা দেওয়া হবে। একান্তই যদি জমা না দেওয়া যায়, তবে অধ্যক্ষকে মেইল করা হবে।
[আরও পড়ুন: গণনায় কারচুপির অভিযোগ, নন্দীগ্রামে ভোটের ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে মমতা]
বিজেপির (BJP) তরফে বিধানসভার ১৫টি কমিটির চেয়ারম্যান পদ দাবি করা হলেও মানতে নারাজ শাসকপক্ষ। তাঁরা ১০টির বেশি কমিটি বিরোধীদের ছাড়তে নারাজ। আজকের মধ্যে এই দশটি কমিটির চেয়ারম্যানদের নাম জানানোর কথা। তার আগের দিন বিরোধী দলনেতা বিষয়টি নিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেন বলে দাবি বিজেপির। ১৫টি কমিটির দাবি থেকে তাঁরা সরছেন না বলে পরিষদীয় মন্ত্রীকে জানিয়ে দেন। দাবি গেরুয়া শিবিরের। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁর সঙ্গে বিরোধীদলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গার কথা হয়েছে। কিন্তু শুভেন্দুর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি।
এদিন মিনিট ৪৫ বিধানসভায় থাকার পর আরামবাগে যান শুভেন্দু। বজ্রাঘাতে মৃত পাঁচজনের পরিবারের হাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ তুলে দেন। সেখানে উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা প্রসঙ্গে জানান, বাম ও তৃণমূলের সময় সেখানে কোনও উন্নয়ন হয়নি। তাই সেখানকার মানুষ এমন দাবি করতে পারেন বলে মনে করেন তিনি।