বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য , শিলিগুড়ি: বিদেশি পর্যটদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এখন সিকিম। অন্তত ওই রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের সাম্প্রতিক রিপোর্ট তেমনই আভাস দিচ্ছে। করোনাকাল ও তিস্তায় হড়পাবানের বিপদ জয় করে পাঁচ বছরে রেকর্ড তৈরি করেছে পাহাড়ি রাজ্য। প্রায় ৭ লক্ষ বিদেশি পর্যটক সেখানে ভ্রমণে এসেছেন। গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ভ্রমণে আসেন প্রায় এক লক্ষ পর্যটক। ডিসেম্বরে রংপো এবং পরবর্তীতে নাথু লা পর্যন্ত রেলপথ চালু হলে ওই সংখ্যা ঝড়ের গতিতে বাড়বে বলে মনে করছে ওই রাজ্যের পর্যটন দপ্তর।
[আরও পড়ুন: অমিত শাহকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে ‘কয়লা মাফিয়া’! তালিকা প্রকাশ করে তোপ তৃণমূলের]
বিদেশি পর্যটক টানতে কার্যত বিস্ময়কর রেকর্ড তৈরি করেছে দেশের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য সিকিম। সেখানকার পর্যটন দপ্তরের সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ওই রাজ্যে ৬ লক্ষ ৬১ হাজার ২৪৮ জন বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন। শুধু ২০১৯ সালেই এসেছেন ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৮৮ জন বিদেশি।
পরের বছর করোনা মহামারির আতঙ্কে বিশ্বজুড়ে পর্যটন শিল্পে বিপর্যয় নামে। ২০২০ সালে মাত্র ১৯ হাজার ৯৩৫ জন বিদেশি পর্যটকের দেখা মেলে। ২০২১ সালে ওই সংখ্যা আরও নেমে হয় ১১ হাজার ৫০৮ জন। পর্যটন নির্ভর রাজ্যটির অর্থনীতিতে মন্দার ছায়া নেমে আসে। যদিও ২০২২ সাল থেকে ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। ওই বছর বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে হয় ৬৮ হাজার ৬৪৫। এর পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা একলাফে বেড়ে হয় ৯৩ হাজার ৯০৮ জন। চলতি বছরেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে।
[আরও পড়ুন: শিয়ালদহে বাতিল মেগা ব্লক, ১২ বগি ট্রেন চালানো নিয়ে অনিশ্চয়তা]
দীর্ঘ উত্থান-পতনের রেখচিত্রে শুধুমাত্র করোনা মহামারির ধাক্কা ছিল না। সিকিম পর্যটনের উপদেষ্টা রাজ বসু বলেন, "তিস্তার হড়পা বানে বিধ্বস্ত হয়েছিল উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই বিপদ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে রাজ্যটিকে।" সিকিম পর্যটন দপ্তরের কর্তাদের একাংশের মতে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সিকিমে রেল পরিষেবা চালু হতে পারে। সেটা হলে ২০২৫ সাল থেকে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়বে। ওই রেলপথে রয়েছে ১৪টি সুড়ঙ্গ এবং ১৭টি সেতু। ছয়টি সুড়ঙ্গের কাজ শেষ হয়েছে। সেতু নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে।