সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগস্টের শেষদিক থেকেই ভারতের ৫জি পরিষেবা শুরু হতে চলেছে। এয়ারটেলের গ্রাহকরা এই সুবিধা পাবেন। ইতিমধ্যেই তিনটি মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে এয়ারটেল। তাদের মাধ্যমেই ৫জি (5G) পরিষেবা দেওয়া হবে। জানানো হয়, আগস্ট মাস থেকেই এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হবে। ১৫ আগস্ট পর্যন্ত টেলিকম সংস্থাগুলিকে স্পেকট্রাম প্রদান করা হবে। তারপর থেকেই দেশে ৫জি পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
এয়ারটেলের (Airtel) সিইও গোপাল ভিত্তল জানিয়েছেন, “অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আগস্ট মাস থেকেই ভারতে ৫জি সার্ভিস শুরু করা হবে। নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত সমস্ত চুক্তির কাজ চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সঙ্গে আমরা কাজ করব। আমাদের গ্রাহকদের ৫জি কানেক্টিভিটির সম্পূর্ণ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করব।” সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, “৫জি পরিষেবার হাত ধরেই ভারত ডিজিটাল অর্থনীতিতে আরও এগিয়ে যাবে। তাছাড়াও শিল্প বণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই পরিষেবা। সামাজিক উন্নয়নেও কাজে লাগবে এই পরিষেবা।”
[আরও পড়ুন: কর্মীদের উপর প্রবল অসন্তুষ্ট গুগল সিইও, ছাঁটাইয়ের পথে টেক জায়ান্ট?]
জানা গিয়েছে, নোকিয়া, স্যামসাং (Samsung) এবং এরিকসনের সঙ্গে এয়ারটেলের চুক্তি পাকা হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সোমবারই ৫জি নিলাম শেষ হয়। চার প্রতিযোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ দরপত্র জমা দিয়েছিল জিও (Jio)। প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকার দরপত্র জমা দিয়েছিল মুকেশ আম্বানির সংস্থা। চল্লিশ হাজার কোটি টাকার দরপত্র জমা দিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই ছিল এয়ারটেল। নিলামে অংশ নিয়েছিল ভোডাফোন এবং গৌতম আদানির সংস্থা আদানি ডেটা নেটওয়ার্ক।
৫জি নেটওয়ার্ক শুরু হলে নানা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। কারণ খুব অল্প সময়ে অনেক বেশি পরিমাণ তথ্য সরবরাহ করা যাবে এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, এখন ভারতে যে নেটওয়ার্ক চলছে, তার থেকে অন্তত দশ গুণ দ্রুত কাজ করবে ৫জি। স্বাধীনতা দিবসের আগে পর্যন্ত দরপত্র অনুযায়ী ৫জি স্পেকট্রাম বন্টন করা হবে টেলিকম সংস্থাগুলির মধ্যে। তারপরেই দেশের কয়েকটি শহরে ৫জি পরিষেবা শুরু করা হবে।