সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতি বছর গঙ্গা আরতি দেখতে বারাণসীতে ভিড় জমান বহু পর্যটক। একই ধাঁচে কলকাতায়ও শুরু হয়েছে গঙ্গা আরতি। প্রতিদিন সন্ধেয় বাবুঘাটের কাছে ১১ জন পুরোহিত মিলে আরতি সারেন। মন খারাপ হলে কিংবা কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে সন্ধের ফুরফুরে হাওয়া খেতে একবার ঢুঁ মেরে আসতেই পারেন গঙ্গার ঘাটে। প্রিয়জনের সঙ্গে গঙ্গার পাড়ে বসে উপভোগ করতে পারেন গঙ্গা আরতির মোহময় দৃশ্য। তবে শুধু পাড়ে বসে নয়, চাইলে গঙ্গাবক্ষে ভেসেও উপভোগ করতে পারবেন এই মনোরম দৃশ্য।
২ মার্চ থেকে বাজে কদমতলাঘাটে গঙ্গা আরতি শুরু হয়েছে। গরম কালে সন্ধে ৬টা আর শীতকালে সন্ধে ৭টা থেকে ৪৫ মিনিট চলে আরতি। গঙ্গার পাড়ে বানানো হয়েছে দর্শনার্থীদের বসার জায়গা। সেখানে বসে পুরো প্রক্রিয়াটা দেখা যায়। তবে দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনের জন্য গঙ্গাবক্ষে ভেসেও এই আরতি দেখার সুযোগ করে দিয়েছে রাজ্য় পর্যটন দপ্তর। আলো ঝলমলে ক্রুজে থাকছে বাজে কদমতলা ঘাটে।
[আরও পড়ুন: পাহাড় ঘেরা শ্রীনগরে মন কাড়ছে টিউলিপ গার্ডেন, কাশ্মীরে শুরু পর্যটকদের ভিড়]
ক্রুজে চেপে গঙ্গা আরতি দেখতে হলে খরচ করতে হবে ১০০ টাকা। ১ ঘণ্টা গঙ্গাবঙ্গে ঘোরাবে ক্রুজটি। তবে এখনও কোনও প্রি বুকিং নেই। একটু আগে পৌঁছে টিকিট কাটলেই চলবে। তবে জেটিতে রিপোর্টিং টাইম বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট। তবে এই সুবিধা মিলবে আপাতত শুধু শনি ও রবিবার। বাকি দিনগুলি একই জায়গায় থাকে ক্রুজটি। এখনও পর্যন্ত অনলাইনে এই টিকিট কাটা যায় না। এপ্রিল থেকে সেই ব্যবস্থাও চালু করতে চলেছে রাজ্য় পর্যটন দপ্তর।
[আরও পড়ুন: পার্কস্ট্রিটের ‘বাংলাদেশি পাড়া’য় কচুপাতা চিংড়ি, কচি পাঁঠার ঝোল নিয়ে হাজির ‘আমি বাঙালি’]
খালি পেটে বেড়ালে কি আর মন ভরে! তাই গঙ্গা আরতি দর্শন সেরে পাশেই রয়েছে পেটপুজোর ব্যবস্থা। একই জেটিতে রয়েছে আলোকিত সুসজ্জিত আরও একটি ভেসেল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিভাগ পরিচালিত ফ্লোটিং রেস্তরাঁর নাম ‘লেনিন ক্রুজ’। যেমন সুন্দর পরিবেশ তেমনই রয়েছে হরেক কিসিমের খাবার। প্রি-বুকিং লাগে না, গিয়ে বসলেই হবে। তাহলে আর দেরি কেন, পুণ্যি করতে করতে পেট পুজোটা সেরে আসুন আজই।