স্টাফ রিপোর্টার: জুনে বর্ষা বঙ্গে ঢুকে গেলে দরজা বন্ধ হয়ে যায় জঙ্গলের (Jungle) কোর এলাকা। পর্যটকদের জন্যও তার আশপাশে ঘোরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেই ব্যবস্থাপনাই আরও কড়া করেছে বন দপ্তর (Forest Department)।
সম্প্রতি ওই এলাকার আশপাশে এই সময়টায় ব্যবসা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে রাজ্য প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বন দপ্তরের নির্দেশ, ওই এলাকায় কোনও ব্যবসা করাই বিপজ্জনক। স্থানীয় হলেও তাঁদের এই অনুমতি দেওয়া যাবে না। এ নিয়ে দ্রুত একটি গাইডলাইনও দিয়ে দেবে বনদপ্তর।
কোর এলাকায় ঢোকা তো দূর, তার বাইরের বাফার এলাকাতেও ঢোকা যাবে না ১৬ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের এই সময়। এই সময়টা বাঘের প্রজননের। সেই কারণেই নিষেধাজ্ঞা। এ সময়ে কোনও পর্যটককেও ওই এলাকার আশপাশেও ঢুকতে দেওয়া হয় না। লাভা, তাকদা, লোলেগাঁও, সামসিং, লাটাগুড়ি, চালসা, ডাউহিল, বৈকুণ্ঠপুরের আশপাশের এলাকা পর্যটকদের জন্য স্বর্গ।
[আরও পড়ুন: বিশ্বের বিতর্কিত স্মৃতিসৌধগুলির তালিকায় তাজমহল! আর কী কী রয়েছে?]
কিন্তু বর্ষাকালে এই চত্বরের কোর এলাকার আশপাশেও ঢোকা নিষেধ। গোটা দেশের জাতীয় উদ্যান বা অভয়ারণ্যের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রথম থেকেই চালু রয়েছে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ও রয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ও বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বৈঠকে বসেন। পরবর্তী পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনও আলাদা করে বৈঠকে বসবে। সেখানেই এ নিয়ে গাইডলাইন আরও একবার স্পষ্ট করে দেওয়া হবে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
কোর এলাকার পর থাকে বাফার এলাকা। তার পর ফ্রিঞ্জ এলাকা। সাধারণ সময়ে ওই ফ্রিঞ্জ এলাকা পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথায়, “কোনও একটি বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। বর্ষায় দেশের সর্বত্র জঙ্গলের ক্ষেত্রে যা নিয়ম থাকে, এখানেও তাই। এ নিয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন আবারও জানিয়ে দেওয়া হবে।”