সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘুম থেকে উঠে অফিস। আবার অফিস থেকে বাড়ি। একই নিয়মে বাঁধা জীবনের বেশিরভাগ সময়ই আজকাল অফিসেই কেটে যায় প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের। তাই সেটাই হয়ে ওঠে দ্বিতীয় পরিবার। আর সহকর্মীরা আত্মীয় পরিজন কিংবা বন্ধুসম। তবে সকলে যে সমান নন। তাই তো অফিসেও সব সহকর্মীর সঙ্গে একইরকম মনের টান তৈরি হয় না। কারণ, সহকর্মীদেরও যে রকমফের রয়েছে। কেউ হিংসুটে তো কেউ মিশুকে। আর এই হিংসুটে সহকর্মীদের সামলাতে গিয়ে অনেক সময় নানা সমস্যায় পড়তে হয়। সহকর্মীর হিংসায় বিরক্ত না হয়ে কীভাবে তাঁকে সামলাবেন, রইল টিপস।
Advertisement
- আপনি হয়তো কোনও কাজ খুব ভাল করলেন। আর তার ফলে বসের প্রশংসা কপালে জুটল। ব্যস! হিংসুটে সহকর্মীর মনখারাপ। আপনার ভাল যে তাঁর সহ্য হয় না। তাই তিনি আপনার দোষ খোঁজার চেষ্টা করবেন। এর তার সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনাও করবেন। আপনার কানেও আসবে সেকথা। তবে তাতে বেশি আমল দেবেন না। শুনলেই যে প্রতিক্রিয়া দিতে হবে, তা তো নয়। তাই নিশ্চুপ থাকুন। কারণ, প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মেজাজ হারালে সহকর্মীদের আপনার প্রতি ভিন্ন ধারণা তৈরি হতে পারে।
[আরও পড়ুন: জীবনের প্রথম আয় মোটে ২৫ টাকা, কত টাকার সম্পত্তি রেখে গেলেন লতা মঙ্গেশকর?]
- হিংসুটে সহকর্মীর নিন্দা কানে আসুক, ক্ষতি নেই। তবে তা ব্যক্তিগতভাবে গায়ে মাখবেন না। যা বলছেন, তা তাঁকে বলতে দিন। একদিন না একদিন হিংসুটে সহকর্মী নিশ্চয়ই আপনার বিরুদ্ধে কথা বলা বন্ধ করে দেবেন।
- অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করবেন না। দলগতভাবে কোনও কাজ করার সময় হিংসুটে সহকর্মীর সঙ্গেও আলোচনা করুন। কোনও বিষয়ে আপনার বা হিংসুটে সহকর্মীর জ্ঞান না থাকলে, দু’জনে তার আদানপ্রদান করুন।
- হিংসুটে সহকর্মী যদিও ইচ্ছাকৃতভাবে আপনাকে দোষী প্রমাণ করতে চান। তবে অবশ্যই তার প্রতিবাদ করুন। অযথা অশান্তির কথা ভেবে মুখ বুজে সব কিছু সহ্য করবেন না।
- প্রয়োজন ছাড়া হিংসুটে সহকর্মীদের এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। যাঁরা ভাল ব্যবহার করেন, সেই সমস্ত সহকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটান।