সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্টাইল স্টেটমেন্টের অন্য নাম আইফোন। ১৮ বছর বাজার দাপানোর পরেও যে গরিমা এতটুকু কমেনি। কিন্তু সাম্প্রতিক শুল্ক বিশ্বযুদ্ধে অস্বস্তি বাড়ছে অ্যাপল কর্তাদের। দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশি পণ্যের উপর বিপুল হারে কর বসিয়েছেন। তাঁর দাবি, এর ফলে দেশের (আমেরিকার) বাজার লাভবান হবে, মার্কিন নাগরিকদের কাজের সুযোগ বাড়বে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এই নীতির কারণে কয়েক গুণ বেড়ে যাবে আইফোনের দাম। বিশ্বজুড়ে যার প্রভাব পড়বে। কীভাবে?

সংবাদসংস্থা সিএনএনের দাবি, যদি অ্যাপল তাদের সিংহভাগ আইফোন আমেরিকাতে তৈরি করা শুরু করে, তবে লাফিয়ে বাড়বে দাম। কারণ মার্কিন মুলুকে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। সেই কারণেই আমেরিকার সংস্থা হলেও অ্যাপেলের সিংহভাগ আইফোন তৈরির ইউনিট রয়েছে আমেরিকার বাইরে। এতদিন যাবৎ প্রতি বছর বিক্রি হওয়া আইফোনের সিংহভাগ তৈরি হত চিনে। যদিও গত কয়েক বছরে চিন-নির্ভরতা অনেকটা কমিয়েছে অ্যাপল। বিকল্প গন্তব্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ভারত এবং ভিয়েতনামকে। ভারত এখন অ্যাপলের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রোডাকশন বেস। বিশ্বে মোট উৎপাদিত আইফোনের প্রায় ১৫ শতাংশ ভারতে তৈরি হয়। অন্যতম কারণ প্রথম বিশ্বের তুলনায় শ্রমের খরচ কম।
এদিকে গত কয়েক দিনে চিন (১২৫%), ভারত (২৬%) এবং ভিয়েতনাম (৪৬%)- তিন দেশের উপরেই মোটা অঙ্কের কর চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই অবস্থায় এই তিন দেশে তৈরি আইফোনের দাম তো বাড়বেই। সবচেয়ে বেশি বাড়বে আমেরিকার গ্রাহকদের জন্য। অন্য দিকে আমেরিকায় তৈরি হলেও উৎপাদন ও শ্রম খরচ বেশি হওয়ায় আকাশ ছোঁয়া হবে স্টাইল স্টেটমেন্টের দাম। সব মিলিয়ে শুল্ক বিশ্বযুদ্ধের আঘাতে মাথায় হাত অ্যাপল কর্তাদের।