সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোষ্ঠীহিংসা দীর্ণ মণিপুর (Manipur Violence) নতুন করে অশান্ত। নেপথ্যে বিতর্কিত ভিডিও। যেখানে দেখা গিয়েছে, নগ্ন অবস্থায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুই মহিলাকে। অভিযোগ, গণধর্ষণেরও শিকার হয়েছেন তাঁরা (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল)। যা নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় টুইটার-সহ যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন্দ্রের কড়া নির্দেশ, কোনওভাবেই যেন ভিডিওটি শেয়ার না করা হয়। কেন্দ্র জানিয়েছে ওই ভিডিয়ো দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে। এই নিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করতে পারে কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রের নির্দেশে বলা হয়েছে, বিষয়টি তদন্তাধীন। এর ফলে অশান্তি বাড়তে পারে। অতএব, আইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক। কোনওভাবেই বর্বরতার ভিডিও যেন শেয়ার না করা হয়। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে সমাজমাধ্যমগুলিকে। এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি গত ৪ মে ঘটেছিল। অভিযোগের আঙুল উঠেছে মেতেই সম্প্রদায়ের দিকে। গতকালই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ, গণধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সর্বশেষ খবর, ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটক বিধানসভায় ধুন্ধুমার, অধ্যক্ষের সঙ্গে ‘অভব্য’ আচরণ, সাসপেন্ড ১০ বিজেপি বিধায়ক]]
ভাইরাল ভিডিওর প্রতিক্রিয়ায় বুধবার রাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে টুইট করেন রাহুল গান্ধী। লেখেন, “প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা মণিপুরকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে গিয়েছে। ইন্ডিয়া চুপ করে থাকবে না, যখন মণিপুরে ভারত ভাবনার উপরে হামলা হচ্ছে। আমরা মণিপুরের মানুষের পাশে আছি। শান্তিই এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ।” ঘটনার প্রতিবাদে টুইট করেছে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসও (AITC)। অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়, “মণিুপরে যন্ত্রণার ৭৮তম দিন। প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা তাঁর অজ্ঞতা এবং ভয়ংকর উদাসীনতার পরিচয়।” তবে মণিপুরের বর্বর ভিডিও নিয়ে মুখ খুলেছে শাসক শিবিরও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি টুইট করেছেন, “মণিপুরে ২ মহিলার যৌন নিপীড়নের ভয়াবহ ভিডিও নিন্দনীয় এবং অমানবিক। মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, তদন্ত চলছে। বিচার হবে।”