অভিষেক চৌধুরী, কালনা: পেল্লাই সাইজের একটি মিষ্টি। আর তার দাম একহাজার টাকা! পাঁচশো টাকার মিষ্টিও রয়েছে। এই মিষ্টিই হল পূর্বস্থলী (Purbasthali) ১ নম্বর ব্লকের দোলের মেলার মূল আকর্ষণ। পেল্লাই সাইজের সেই মিষ্টি কিনতেই শুধু এলাকার মানুষজন নয়, দূর-দূরান্তের মানুষজন দোগাছিয়ায় যান মিষ্টি কিনতে।স্বাভাবিক কারণেই দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে জমজমাট হয়ে ওঠে ওই এলাকা।
একদিন-দুদিন নয়, দোল উপলক্ষ্যে টানা চারদিন ধরে মেলা চলে পূর্বস্থলীর দোগাছিয়ায়। আনুমানিক সাড়ে পাঁচশো বছর আগে শুরু হয়েছিল দোল উৎসবের। নিখিলেশ রায়চৌধুরী ও দেবপ্রসাদ রায়চৌধুরী জানান, “চৌধুরিপাড়ায় মূল মন্দিরে কৃষ্ণচন্দ্র, গুপীনাথ ও মদনমোহনের মূর্তি রয়েছে। মূল মন্দির থেকে থেকে কিছুটা দূরে থাকা দোলমন্দিরে চতুর্দোলা করে ঠাকুরের মূর্তি নিয়ে গিয়ে পুজো করা হয়।”
[আরও পড়ুন: খুব সহজেই বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন মিষ্টি দই, রইল রেসিপি]
তাঁরা আরও বলেন, “জমিদারী আমলে এই মন্দিরগুলি তৈরি করেন আমাদের পূর্বপুরুষ শ্রীধর কর। তারপর থেকে দোল উৎসবের সূচনা হয় বলেই জানতে পারি। পরবর্তীকালে নবাবের কাছ থেকে রায়চৌধুরী উপাধি মেলে।” আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে যাত্রা, হরিনাম সংকীর্তন-সহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হয়। বসে মেলাও।
সেই মেলার মূল আকর্ষনই মিষ্টি। দু-এক কেজি নয়, প্রায় আটকেজি ওজনের এক হাজার টাকা দামের মিষ্টি মিলছে এই মেলায়। মেলায় গেলেই বড় বড় গামলায় সেইসব বিশালাকার মিষ্টি চোখে পড়বে। আর এমনই দামের বিশালাকার মিষ্টি দিয়েই অতিথি আপ্যায়ন করা হয় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা সুধাকর ঘোষ,কৃপেশ বিশ্বাসরা। ওই মেলায় বসা মিষ্টি ব্যবসায়ী তপন বিদ, প্রভাত ঘোষরা বলেন, “এই মেলায় মিষ্টিই মূল আকর্ষন। এক পিস এই মিষ্টির দাম এক হাজার টাকা। পাঁচশো, চারশো, দুশো টাকা দামেরও মিষ্টি রয়েছে।”