সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌনতার ক্ষেত্রে যৌনস্বাস্থ্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেন সমস্ত বিশেষজ্ঞরাই। যৌনরোগ থেকে বাঁচতে এই শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু এরই পাশাপাশি যৌন আনন্দের কথাও বলতে হবে মানুষকে। আর সেটা করলেই যৌন-নিরাপত্তার বার্তা পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে। এমনটাই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO।
ঠিক কী বলছেন ‘হু’ বিশেষজ্ঞরা? তাঁরা জানাচ্ছেন, ভয় দেখিয়ে নয়, যৌনতা উপভোগের বার্তা অনেক বেশি অনুপ্রেরণা জোগায়। কাজেই সেটাও একই ভাবে দিতে হবে। অর্থাৎ যৌনতা নিরাপদ তো হতেই হবে। পাশাপাশি তা উপভোগ্যও যাতে হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
আজকের পৃথিবীতে প্রতি বছরই বাড়ছে যৌনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতনতার প্রসার। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ধরনের কর্মসূচিতে যদি নির্মল যৌন আনন্দের মতো একটা বিষয় অনালোচিত থেকে যায়, তাহলে সমস্যা। বহু ক্ষেত্রেই এমন হয় বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ‘আমি সেলিব্রিটি, বাদাম আর বেচব না’, ঘোষণা ‘বাদাম কাকু’ ভুবন বাদ্যকরের!]
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সঙ্গে মিলিত ভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকরা এই বিষয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন। গবেষকরা জানাচ্ছেন, যৌন শিক্ষার মূলে যৌন অসুখ প্রতিহত করার বার্তা নয়, কেন্দ্রে রাখা হোক যৌন আনন্দের কথা।
উদাহরণ স্বরূপ তাঁরা বলছেন, কন্ডোমকে ‘সেক্সি’ বলে উল্লেখ করলে সেটিকে যৌন আনন্দের উপকরণ হিসেবেই দেখবেন মানুষ। এর ফলে তাঁর কন্ডোম ব্যবহারে বেশি উৎসাহ পাবেন। সেই সঙ্গে তাঁরা জানাচ্ছেন, যৌনতার আসল উদ্দেশ্য কী সেটা লোকজনকে মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। এর ফলে ভাল ফল পাওয়া যাবে বলেই বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস। যেমন, যদি মনে করিয়ে দেওয়া যায় লুব্রিকেশনের ব্যবহারের ফলে যৌন আনন্দ বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়, তাহলে মানুষ এতে বেশি উৎসাহিত হবেন। এই ভাবে যৌন শিক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলার উদ্দেশ্যেই বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়েছেন যৌন আনন্দের উপরে।