shono
Advertisement

এক বারান্দা-খাটিয়াতেই বেড়ানোর আনন্দ, ত্রিবর্ণ পলাশের টানে ‘হাউসফুল’ পুরুলিয়া

লাল-হলুদ-সাদা পলাশে আরও সুন্দরী বনমহল। শুধু পলাশ নয়। কুসুমের কচি লাল লাল পাতা সেই সঙ্গে বনাঞ্চল জুড়ে পড়ে থাকা ঝরাপাতার সৌন্দর্যই যেন আলাদা।
Posted: 09:41 PM Mar 23, 2024Updated: 02:50 PM Mar 24, 2024

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: আগুন ঝরানো রাঙা পলাশ তো ছিলই। তারই মাঝে উঁকি দিত হলুদ রঙা বাসন্তী পলাশ। গত বছর বিরল শ্বেত পলাশেরও দেখা মিলেছিল। আর এবার লাল পলাশের সঙ্গে হলুদ পলাশের যেমন ছড়াছড়ি। তেমনই বিরল শ্বেত পলাশের দেখা মিলেছে একাধিক জায়গায়। আর এই তিন রঙা পলাশে যেন আরও রঙিন পুরুলিয়া (Purulia)।

Advertisement

বাসন্তী পলাশে ছেয়ে গিয়েছে রাঢ়ভূম। ছবি: অমিতলাল সিং দেও।

তাই দোল-হোলির প্রাক্কালে পুরুলিয়া একেবারে হাউসফুল। হোটেল, লজ, কটেজ, রিসর্ট, সরকারি পর্যটক (Tourists) আবাস। সর্বত্র ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই রব। তাই পর্যটকদের ফোন, একটা বারান্দা হবে কিংবা একটা খাটিয়া? কথাটা খানিকটা অদ্ভুত ঠেকলেও দোল-হোলির আগে অযোধ্যা পাহাড়ে রাত্রিবাসের জন্য এমনই অবস্থা। সবে মিলিয়ে পুরুলিয়া যেন এই বসন্তে আরও সুন্দরী হয়ে উঠেছে।

[আরও পডু়ন: ভারী তুষারপাত দার্জিলিংয়ের সান্দাকফু ও উত্তর-পূর্ব সিকিমে, বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা]

মাঝ ফাগুন থেকেই এই জেলায় যেমন ‘বাহা পরব’ শুরু হয়েছে। তেমনই বসন্তোৎসবে মাতোয়ারা জেলা। দোল-হোলিতে (Dol Utsav)কটেজ-রিসর্টে শুধু নয়। জেলার বিভিন্ন সংস্থাও যে বসন্তোৎসবের আয়োজন করে। পুরুলিয়ার একটি বেসরকারি পর্যটন প্রকল্পের কর্ণধার সুজিতচন্দ্র কুমার বলেন, “দোল-হোলির দু, তিনদিন আগে থেকেই পুরুলিয়া একেবারে হাউসফুল। এমন অবস্থা যে, পর্যটকরা ফোন করে বলছেন একটা বারান্দা হবে? একটা খাটিয়া? অবাক হয়ে যাচ্ছি আমরা। আমার নিজের রুমটা পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছি পর্যটকদের জন্য।” নদিয়ার ফুলিয়ার পর্যটক রতনকুমার বসাক ও সোনারপুরের পারমিতা চক্রবর্তী বলেন, “পলাশ দেখে অভিভূত হয়ে গিয়েছি। এই প্রথম পুরুলিয়া আসা। সেটা পলাশের জন্য। শুনেছিলাম এই সময়টা দারুন লাগে। এখানে এসে এতো আনন্দ করছি, এতো ভালো লাগছে বলে বোঝাতে পারবো না।”

এবার বিরল শ্বেত পলাশের দেখাও মিলল পুরুলিয়ায়। ছবি:অমিতলাল সিং দেও।

আসলে দিনভর ঘুরে শুধু রাত্রিবাসের জন্যই এমন আর্জি পর্যটকদের। যা শুনে হাঁ হয়ে যাচ্ছে জেলার পর্যটন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা কর্মীরা। পুরুলিয়ার একটি চার তারা হোটেল গ্ৰুপের ডিরেক্টর রাহুল আগরওয়াল বলেন, ” লাল, হলুদ, সাদা এই তিন রঙা পলাশ যে আর বাংলার কোথাও নেই। তাই দোল-হোলিতে এই তিন রঙা পলাশ দেখতে এতো ভিড়। আসলে গত বছরেও হলুদ ও শ্বেত পলাশের এমন আধিক্য ছিল না। তাই এবার ভিড় সামলানো যাচ্ছে না। আমরা এবার ভেষজ আবির দিয়ে পর্যটকদের রঙ খেলাব।” 

‘কিছু পলাশের নেশা…’পলাশের গয়নায় সেজেছেন পর্যটকরা। ছবি:অমিতলাল সিং দেও।

তবে শুধু পলাশ (Palash) নয়। কুসুমের কচি লাল লাল পাতা সেই সঙ্গে বনাঞ্চল জুড়ে পড়ে থাকা ঝরাপাতার সৌন্দর্যই যেন আলাদা। আর এই টানেই সুইস টেন্ট পুঁতেও অযোধ্যা পাহাড় ও পাহাড়তলিতেও রাত কাটাচ্ছেন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকরা। এবার জেলার একাধিক পর্যটন প্রকল্প-ই একেবারে পরিবেশবান্ধব বসন্তোৎসব পালন করার অঙ্গীকার নিয়েছে। যাতে জঙ্গল বা পলাশের কোন ক্ষতি না হয়। তবে পলাশ সংরক্ষণে (Preserve) গত বছর থেকেই এই জেলায় নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।

দেখুন ভিডিও:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement