সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রার গ্রেপ্তারির কথা মনে আছে? পর্ন ভিডিও তৈরি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে। তোলপাড় হয়েছিল বলিউড। এখনও মুখ ঢেকে ঘোরেন রাজ। তবে তিনি আর তাঁর পক্ষে থাকা মানুষজন দাবি করেছিলেন পর্ন আর কামনা উদ্রেককারী অর্থাৎ ইরোটিক ভিডিওর মধ্যে তফাত আছে। কী সেই পার্থক্য? জানালেন বিশেষজ্ঞরা।
কী এই পর্নোগ্রাফি? দর্শক-শ্রোতার দেহমনে উদ্দীপনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যৌন বিষয়বস্তুর খোলামেলা ও পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা বা চিত্রণ। উদ্দীপনা ইরোটিক ভিডিও দেখেও হতে পারে। কিন্তু তা বাধ্যতামূলক নয়। কীরকম? একটু উদাহরণ দিয়ে বলা যাক। যৌনমিলনের দৃশ্য প্রাচীণ শিল্পকলায় দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এটি আপনার উপর নির্ভর করছে আপনি সেটিকে কীভাবে দেখছেন। শিল্পকর্ম হিসেবেও দেখতে পারেন, আবার যৌনদৃশ্য হিসেবেও। কিন্তু পর্নোগ্রাফির ক্ষেত্রে আপনার একমাত্র উদ্দেশ্য যৌনতার স্বার্থ চরিতার্থ করা।
[আরও পড়ুন: শাঁখ বাজাতে জানেন? তাহলে শরীরের এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পেতে পারেন]
পর্ন ভিডিওতে যৌনাঙ্গের প্রদর্শন, সম্পূর্ণ নগ্নতা, মিলনের খোলাখুলি দৃশ্য থাকবে। কিন্তু ইরোটিক ভিডিওতে এমনটা নাও থাকতে পারে। সেখানে সূক্ষ্মতার দিকেই জোর দেওয়া হয়। বাকিটা নারী বা পুরুষের কল্পনার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়।
কেউ টাকা রোজগারের তাগিদে পর্নস্টার হন, কেউ আবার যৌনখিদে মেটানোর তাগিদে। তবে ইরোটিক ভিডিওর মডেলরা বেশি পেশাদার হন। তাঁদের নির্দিষ্ট সীমারেক্ষা থেকে। এক্সপ্রেশনের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়। কামনা উদ্রেককারী ভিডিওর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নগ্ন হওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। পর্ন ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে এখন এই পেশাতেই মন দিয়েছেন মিয়া খালিফা। শার্লিন চোপড়া, পুনম পাণ্ডের মতো সোশ্যাল মিডিয়া তারকারাও সেই পথে হেঁটেছেন।