সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এলিট পরমাণু ক্লাবে ভারতের প্রবেশে বিস্তর বাগড়া দিয়েছিল চিন। ভারত-পাক দ্বন্দ্বের মুহূর্তে পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু অন্যদিক থেকে সেই ভারতেরই শরণাপন্ন হতে হল চিনকে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে ভারতের চালেই আস্থা রাখল চিন। অন্তত ১৪টি চাল রফতানিকারক ভারতীয় সংস্থার সামনে খুলে দেওয়া হল চিনের বাজার।
বাসমতী ছাড়া অন্যান্য চালের ক্ষেত্রে গুণমান নিয়ে অসন্তোষ ছিল চিনের। এছাড়া চিনের বাজারে ভারতীয় যে রাইস মিলগুলি চাল রফতানি করবে তাদের ন্যাশনাল প্ল্যান্ট প্রোটেকশন অরগানাইজেশন-এর অন্তর্ভুক্ত হওয়া বাঞ্চনীয়। এ ব্যাপারে চিনের কিছু আপত্তি ছিল। তবে ভারতীয় চালের মান পরীক্ষা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় চিনা প্রতিনিধি দলকে। সে সময়ই সুর নরম করেছিল চিন। আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছিল যে, এ ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে প্রস্তুত পড়শি দেশটি। কার্যত তাই দেখা গেল। সেপ্টেম্বরে পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে চিন। ভারতীয় চালের মান ও অন্যান্য নিয়মাবলীর ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা খুঁজে পাননি চিনা প্রতিনিধিরা। ফলে চিনা বাজারের দরজা খুলে গেল ভারতীয় রাইস মিলগুলির সামনে। চিনের নির্ধারিত নিয়ম মেনেই ১৪টি রাইস মিল এই ছাড়পত্র পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ভারতের পক্ষেও চিনের এই সিদ্ধান্ত খুব উপকারী হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। চাল থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিস রফতানির ক্ষেত্রে ভারত বেশ উঠেপড়েই লেগেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান বজায় রাখতে রফতানির বাজার সম্প্রসারিত করা ছিল জরুরি। চিনের মতো বড় দেশের বাজার খুলে যাওয়া যে সেক্ষেত্রে বড় পাওনা তা বলাই বাহুল্য।
দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কের এই উন্নতি কূটনৈতিক ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলে তাও দেখার। এর আগে ভারতের বাজারে চিনা দ্রব্যের বিক্রি কমা নিয়ে চাপান উতোর চলছিল। তবে ব্যবসার উন্নতিতে সে দূরত্ব অনেকটাই ঘুচবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
The post অবশেষে ভারতের চালেই আস্থা চিনের appeared first on Sangbad Pratidin.