সুব্রত বিশ্বাস: স্পেশ্যাল ট্রেনে সাধারণ যাত্রীদের সফরে বাধা দেওয়ায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল লিলুয়া (Liluah)। স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, রবিবার অবরোধ তোলার সময় রেল আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, টিটিই বা আরপিএফ সাধারণ যাত্রীদের ট্রেনে চড়তে বাধা দেবেন না। তা সত্ত্বেও সোমবার বাধা দেওয়া হয়েছে তাঁদের। হেনস্তা করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে চলতি বছরের মার্চে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল গণপরিবহণ। পরবর্তীতে বাস, মেট্রো চললেও ট্রেন এখনও বন্ধ। শুধুমাত্র কয়েকটি স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো হচ্ছে যেগুলিতে সাধারণ যাত্রীদের সফর নিষিদ্ধ। ফলে অফিস পৌঁছতে নাজেহাল পরিস্থিতি হচ্ছে আমজনতার। ফলে কেউ কেউ নিয়মের তোয়াক্কা না করেই উঠে পড়ছেন স্পেশ্যাল ট্রেনে। রবিবারও এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্ত হয়ে উঠেছিল হুগলির একাধিক স্টেশন। এরপর সোমবার সকালে লিলুয়া স্টেশনে হাওড়াগামী একটি ট্রেনে চেকিং চালানো হয়। তখন বহু যাত্রী ধরা পড়ে যান, যাঁরা রেলের কর্মী নন। ট্রেন থেকে তাঁদের নামিয়ে ফাইন করা হয়। এতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় লিলুয়া স্টেশন। তুমুল অশান্তি শুরু করে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। চলে বচসা। অভিযোগ, যাত্রীরা হামলা চালায় স্টেশনের অফিসে। ভাঙচুর করা হয় সেখানে থাকা অধিকাংশ সামগ্রী।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশি হামলা তৃণমূলের মরণ কামড়’, কটাক্ষ লকেটের]
ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় স্টেশন। উত্তেজিত যাত্রীরা দাবি করতে থাকেন রেলের আধিকারিকদের অনুমতিতেই ট্রেনে উঠেছিলেন তাঁরা। বাধ্য হয়ে আটক করা যাত্রীদের ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি আশ্বাস দেওয়া হয় তাঁদের আর বাধা দেওয়া হবে না। এরপর শান্ত হয় পরিস্থিতি। আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি দেখে, আধিকারিকদের একাংশ বিনা বাধায় ট্রেন চড়ার আশ্বাস দিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু এটা আইন বিরোধী। এপ্রসঙ্গে হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান বলেন, রাজ্যের অনুমতি বা পেলে ট্রেন চালানো হবে না। এমনকি অ-রেলকর্মীদের ট্রেনে চড়তে দেওয়া হবে না। রেলর পরস্পর বিরোধী সিদ্ধান্তে বিভ্রান্ত সাধারণ যাত্রীরা।