শুভঙ্কর বসু: অন্যদিকে মোড় নিল কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড। করোনার ওই টিকাগুলি যে ভুয়ো, তার কী প্রমাণ? কোন ল্যাবরেটরি রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে একে ‘ভুয়ো’ বলা হচ্ছে? এমনই হাজার প্রশ্ন তুলে এবার বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী অজিত মিশ্র। মামলাটি গৃহীত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।
করোনা আবহে ‘ভুয়ো’ টিকাদান (Fake vaccination) নিয়ে কলকাতায় মাস খানেক আগেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কসবার টিকাশিবিরের করোনা টিকার নামে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগে দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তি-সহ বেশ কয়েকজকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার তদন্তে SIT তৈরি হয়েছে। এমন এক স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে এই গুরুতর অভিযোগ জনমানসে কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মোট ৪টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC)। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হোক, এই মর্মে মামলা করেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারিও। কিন্তু পরে শুনানিতে SIT-এর সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বিচারপতিরা জানান, এখনই CBI তদন্তের প্রয়োজন নেই। কলকাতা পুলিশের SIT-এর তদন্ত যথাযথ পথেই এগোচ্ছে।
[আরও পড়ুন: কোভিড টিকাপ্রাপ্ত ভারতীয়দের ৮৬ শতাংশই আক্রান্ত ডেল্টায়, দাবি ICMR-এর]
এরপর শুক্রবার আইনজীবী অজিত মিশ্র কসবার ক্যাম্পের টিকাগুলি যে ‘ভুয়ো’, তার প্রমাণ কী? এই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দায়ের করার পক্ষে তাঁর যুক্তি, দেশের মোট ৫৫ টি ল্যাবরেটরি রয়েছে, যারা কোনও টিকা ‘ভুয়ো’ কিনা, তা পরীক্ষা করে বলার জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত। কিন্তু এই ৫৫টি ল্যাবের কোনও একটির রিপোর্টে কি বলা হয়েছে যে সেটি ‘ভুয়ো’? ফলে এই তদন্তের গোড়া থেকেই গাফিলতি আছে বলে অভিযোগ ওই আইনজীবীর। তাঁর মামলাটি গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর জেরে বিষয়টির গুরুত্ব আরও বাড়ল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।