সুব্রত বিশ্বাস: ভোরবেলায় তারকেশ্বর লোকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য। যাত্রী ভরতি একটি কামরায় আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগুন নিভিয়েই গন্তব্যে ফেরে ট্রেনটি। হতাহতের কোনও খবর নেই।
বুধবার ভোরে তারকেশ্বর লোকাল কৈকালা আসার পরই শেষ দিক থেকে তিন নম্বর বগির নিচ থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন ওই কামরার যাত্রীরা। এরপর ৪টে ৫৮ মিনিট নাগাদ বাহিরখণ্ডে এসে দাঁড়ায় ট্রেনটি। আধঘণ্টা ধরে আগুন নেভানোর কাজ চলে সেখানেই। যাত্রীদের নিয়ে ফের রওনা দেয় ট্রেন। এরপর শ্যাওরাফুলিতে এসে ট্রেনের কলকবজা ঠিক করেন রেলকর্মীরা। তারপর গন্তব্যে পৌঁছায় তারকেশ্বর লোকাল। ফলে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেকটাই দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছান যাত্রীরা।
[আরও পড়ুন: মারাদোনার মূর্তিতে মালা দেবেন মার্টিনেজ, কলকাতা সফরে আর কোথায় যাবে বিশ্বজয়ী তারকা?]
ভেন্ডার কামরার কাছাকাছি বগিতে এই ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক আরও তীব্রতর হয়। কারণ ভেন্ডার কামরায় প্রচুর পণ্যসামগ্রী, শাক-সবজি নিয়ে বিভিন্ন স্টেশনে নামেন ব্যবসায়ীরা। আগুন লাগার ঘটনায় তাঁরা এতটাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন যে অনেকে নিজেদের মালপত্র নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। সব মিলিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় সাতসকালে।
কিন্তু ঠিক কীভাবে আগুন লাগল ওই কামরায়? রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ব্রেক এবং চাকার সংযোগস্থলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই আগুন ধরে যায়। সাধারণত, ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এমন ঘটনা ঘটে থাকে। ফলে লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।