সুব্রত বিশ্বাস: অবশেষে জনসাধারণের জন্য খুলল মুম্বই লোকাল ট্রেন (Mumbai local train) পরিষেবা। তবে মুম্বাইয়ের মতো ব্যস্ত নগরীতে এই ছাড় মিললেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় সাধারণ যাত্রীদের ট্রেনে চড়া নিষিদ্ধ।
[আরও পড়ুন: ২০% ফি কমাতেই হবে বেসরকারি স্কুলগুলিকে, কলকাতা হাই কোর্টের রায়ই বহাল শীর্ষ আদালতে]
বুধবার মহারাষ্ট্র সরকারের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, রিলিফ রিহাবিলিটশন বিভাগের সচিব কিশোর রাজে নিম্বালকার মধ্য ও পশ্চিম রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে লিখিতভাবে নির্দেশ দিয়েছেন এনিয়ে। করোনা আবহে কোন সময়ে কীভাবে সাধারণ যাত্রীরা ট্রেনে চড়বেন তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সকাল সাড়ে সাতটার সময়ে প্রথম লোকাল ট্রেনে সাধারণ যাত্রীর টিকিট বা পাস নিয়ে চড়তে পারবেন। সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত জরুরি কাজে যুক্তরা কিউআর কোড/ আইকার্ড-সহ টিকিট নিয়ে যাত্রা করতে পারবেন। দুপুর এগারোটা থেকে সাড়ে চারটে পর্যন্ত সাধারণ যাত্রীরা টিকিট ও পাসে যাত্রা করতে পারবেন। পাঁচটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত জরুরি কাজে যুক্তরা কিউআর কোড, আইকার্ড-সহ টিকিট বা পাসে যেতে পারবেন। রাত আটটা থেকে শেষ ট্রেনে সবাই টিকিট বা পাশে যাত্রা করতে পারবেন। মহিলাদের জন্য ঘন্টায় ঘন্টায় চলবে ট্রেন।
মহারাষ্ট্রে সাধারণ যাত্রীরা ট্রেন চড়ার অনুমতি পেলেও রাজে এই ব্যবস্থা অধরা রয়ে গিয়েছে। রেল অবশ্য মুম্বাইয়ের মতো পরিষেবা চালু করতে প্রস্তুত। তবে রাজ্যের অনুমতি ছাড়া তা সম্ভব নয়। রাজ্যের নানা যাত্রী সংগঠন রেলের কাছে ট্রেন চালানোর দাবি তুলেছে বারবার। রাজ্যে লোকাল ট্রেনে চড়ার অনুমতি না মিললেও পুজোর মরশুমে পর্যটনস্থলগুলির দিকে অধিকাংশ ট্রেন চালু হয়েছে। কালকা-সিমলার মাঝে ডিলাক্স ট্রেনটির দৈনিক চলাচল করছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আপাতত চলবে। যদিও ওই নির্ধারিত সময় পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা বাতিল করেছে রেল। তবে কোনও রাজ্য চাইলে ট্রেন চালানোর কথা বলেছে নির্দেশে। পূর্ব রেলের জনৈক কমার্শিয়াল কর্তার মতে, আয়ের অর্ধাংশ দূরপাল্লার ট্রেনের সংরক্ষিত টিকিট থেকে আসে। তাতো হচ্ছে। তবে লোকাল আয়ের চেয়ে ঝামেলা বেশি ও সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকায় সে দিকে নজর দিচ্ছে না রেল। নভেম্বরে ভ্যাকসিন শুরু হওয়ার কথা। সেই ব্যবস্থা চালু হলে তার পর লোকাল চালানোর তৎপরতা শুরু হতে পারে বলে তার ধারণা।