সুব্রত বিশ্বাস: ফের ভাঙল ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ। যার জেরে হাওড়া-ব্যান্ডেলের মাঝে ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শুক্রবার বিকেলে। দুপুর ২.২০ মিনিটের হাওড়া ছেড়ে যাওয়া বর্ধমান লোকাল মানকুণ্ডু স্টেশন পেরিয়ে আসার পর ওভারহেড তারের ভেঙে যাওয়া স্টপারে ধাক্কা খায় ওই লোকালের পেন্টো।
এরপরই চালকের দিকের প্যান্টোগ্রাফটি ভেঙে পড়ে। কিছু দূর গিয়ে বর্ধমান লোকালটি দাঁড়িয়ে পড়ে। পরপর দাঁড়িয়ে পড়ে কাটোয়া লোকাল-সহ আরও কয়েকটি ট্রেন। খবর পেয়ে রেলকর্মীরা এসে মেরামতির কাজ শুরু করে। ৩.১০ মিনিট থেকে ৩.৫১ মিনিট পর্যন্ত আটকে থাকার পর বর্ধমান লোকালটি চারটির বদলে একটি পেন্ট্রোগ্রাফের সাহায্যে চলতে শুরু করে। বাকি তিনটি পেন্টো অকেজো হয়ে পড়ে। চন্দনগর থেকে ব্যান্ডেলে পৌঁছতে ট্রেনটির ৩৩ মিনিট লেগে যায়।
[আরও পড়ুন: সৌদিতে বসে কীভাবে মিনাখাঁয় মনোনয়ন? কমিশনের কাছে তদন্ত রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের]
৪.২৪ মিনিটে ব্যান্ডেলে আসার পর ট্রেনটির প্যান্টোগ্রাফ মেরামত শুরু হয়। তবে দীর্ঘক্ষণ ট্রেনটি আটকে পড়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। এরপরের বর্ধমান লোকলটি ব্যান্ডেলে এলে যাত্রীরা ট্রেন বদল করে তাতেই রওনা দেন। পাঁচটার একটু আগে যান্ত্রিক ত্রুটি মুক্ত হয়ে ট্রেনটি রওনা দেয় বর্মানের উদ্দেশে।
কিছু দিন আগে বনপাসের কাছে ভেঙে যায় সরাইঘাট এক্সপ্রেসের প্যান্টোগ্রাফ। একই সময় ঝাপটের ঢাল স্টেশনে মালদহ ইন্টারসিটির প্যান্টোগ্রাফ ভাঙে। বারবার প্যান্টোগ্রাফ ভাঙার জন্য রেলের বেসরকারিকরণ নীতিকেই দায়ী করেছে রেলের কর্মী সংগঠন। অভিযোগ, ওভারহেড তার, মাস্ট থেকে শুরু করে সব কিছু এখন ঠিকাদার দিয়ে চালানো হয়। ফলে ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। হয় না গ্রিজিংও। ফলে বারবার প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে বিপর্যস্ত হয় ট্রেন চলাচল।