সুব্রত বিশ্বাস: লোকাল ট্রেন চলাচলে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে প্রায় প্রতিদিনই। তবে তার মধ্যেই প্রথম শ্রেণির কামরায় লাগানো হচ্ছে ইএমইউ রেক। শিয়ালদহ-কল্যাণী মহিলা স্পেশালে প্রথম একটি কোচ লাগিয়ে শুরু হচ্ছে পরীক্ষামূলক যাত্রা।
অফিস যাত্রী, অন্তঃসত্ত্বা এবং অসুস্থ মহিলা যাত্রীদের সুবিধার জন্য এই বিশেষ কামরা লাগানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল। সাজানো-গোছানো পরিচ্ছন্ন প্রথম শ্রেণির এই কামরার ভাড়াও জানিয়ে দিল রেল। শিয়ালদহ থেকে বিধাননগরের সাধারণ কামরার ভাড়া ৫ ও মান্থলি ১০০ টাকা। প্রথম শ্রেণির কামরার ভাড়া ২৫ টাকা এবং মান্থলি ৩৪৫ টাকা। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে তিন গুণ ভাড়া দিয়ে যাত্রা করতে হবে এই কামরায়।
[আরও পড়ুন: এবার দার্জিলিং গেলেই দিতে হবে বাড়তি কর, জানেন কত?]
এদিকে কল্যাণীর ভাড়া ১৫ টাকা ও মান্থলি ২৭০ টাকা হলেও ওই কামরাতে উঠলে ভাড়া দিতে হবে ৯০ টাকা এবং মান্থলি ৯২৫ টাকা। ভাড়ায় এত বড় মাপের ব্যবধানের মধ্যে প্রথম শ্রেণি কতটা জনপ্রিয় হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে রেলকর্তাদের মধ্যেই। যাত্রীরা এই বিষয়টিকে রীতিমতো ‘খাল কেটে কুমির আনা’ বলে বর্ণনা করেছেন। সোদপুরের নিত্যযাত্রী সঞ্জিত বসুর কথায়, ভিড়ের সময়ে সাধারণ টিকিট নিয়ে চড়ে যাবে ওই কামরায়। তারপর গন্তব্যে পৌঁছে হবে ধরপাকড়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে রোজই।
আরপিএফ-এর একটি সূত্রও তা স্বীকার করে বলছে, প্রতিদিনই ধরপাকড় নিয়ে ঝামেলার পাশাপাশি অভিযোগের বন্যা বইবে। মুম্বইতে এই ধরনের কামরা চালু হলেও পরিকাঠামোগত ও যাত্রী মানসিকতা ভিন্ন বলে দাবি করেছেন যাত্রীরাই। প্রশ্ন হল, এক্ষেত্রে টিকিট পরীক্ষা হবে কীভাবে? কমার্শিয়াল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ট্রেন চলাচলের মধ্যে টিকিট পরীক্ষার পাশাপাশি স্টেশনে নির্ধারিত কামরার সামনে থাকবে চেকিং স্টাফ।