অর্ণব আইচ: রাতের অন্ধকারে হাসপাতালের পাইপ বেয়ে পালানোর চেষ্টা৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় ধরা পড়ল এক বিচারাধীন বন্দি৷ ঘটনাটি ঘটেছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে৷ ওই বন্দিকে আটক করেছে টালা থানার পুলিশ৷ এদিকে, সরকারি হাসপাতাল থেকে বন্দির পালানোর চেষ্টার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷
[অপরিচ্ছন্ন স্কুলের শৌচাগার, হিন্দু স্কুলের সামনে বিক্ষোভ অভিভাবকদের]
দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দি বছর কুড়ির নীরজ সাউ৷ তার বিচার চলছে৷ জেল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার জেলের ভিতরেই ব্লিচিং পাউডার খেয়ে ফেলে নীরজ৷ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে আনা হয় আরজি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে৷ রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হাসপাতালের ছ’তলার শৌচাগার থেকে পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে ওই বন্দি৷ ঘটনাটি নজরে পড়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ তাঁদের চিৎকারে ছুটে আসে আরজি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল লাগোয়া ফাঁড়ির পুলিশ৷ এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ততক্ষণে দোতলার একটি ঘরে লুকিয়ে পড়েছে নীরজ৷ শেষপর্যন্ত, ওই যুবককে আটক করে টালা থানার পুলিশ৷
কিন্তু, সাধারণত কোনও বিচারাধীন বন্দি হাসপাতালে ভরতি হলে, ওয়ার্ডের বাইরে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে৷ তাহলে কীভাবে পালানোর ছক কষল দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারের বন্দি নীরজ? পুলিশের বক্তব্য, রাতে শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে ওয়ার্ড থেকে বাইরে বেরিয়েছিল ওই যুবক৷ বাথরুমের কাচের জানলা ভেঙে পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে সে৷ তবে শেষরক্ষা হয়নি৷ এই ঘটনার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ স্থানীয় টালা থানার কোনও গাফিলতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷
[রক্তমোক্ষণে সুস্থ ১৫০ রোগী, শ্যামবাজারের জে বি রায় হাসপাতালে জোঁক বিপ্লব]
The post হাসপাতালের পাইপ বেয়ে পালানোর চেষ্টা, প্রত্যক্ষদর্শীদের তৎপরতায় ধরা পড়ল বন্দি appeared first on Sangbad Pratidin.