নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: প্রথম দফায় ১৬ রাজ্য এবং ২ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৯৫ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। এই প্রার্থী তালিকায় একদিকে যেমন জাতপাতের সমীকরণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তেমনি জোর দেওয়া হয়েছে তারুণ্যে। তবে লক্ষণীয় ব্যাপার হল, বিজেপি এবার একটা বড় সংখ্যক সাংসদকে টিকিট দেয়নি।
প্রথম তালিকার ১৯৫ আসনে ৪২ জন বিদায়ী সাংসদের টিকিট বাতিল করেছে বিজেপি। সব মিলিয়ে আগেরবারের ৫৭ জন প্রার্থী এবার টিকিট পাননি। দিল্লিতে ৫ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। এর মধ্যে ৪ আসনেই নতুন মুখ। ছত্তিশগড়ে ৪ সাংসদকে টিকিট দেওয়া হয়নি। অসমেও ৬ জন বিদায়ী সাংসদকে টিকিট দেওয়া হয়নি। গুজরাটেও ৫ বিদায়ী সাংসদের টিকিট কাটা গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশে ৭ নতুন মুখকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। রাজস্থানে ৫ বিদায়ী সাংসদকে এবার আর প্রার্থী করা হয়নি। এছাড়াও অন্যান্য রাজ্যে বেশ কিছু সাংসদকে এবং গতবারের হারা প্রার্থীকে টিকিট দেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: যার জন্ম হয়নি তারও জব কার্ড! ১০০ দিনের কাজে ‘তোলাবাজ’ তৃণমূলকে তোপ মোদির]
প্রশ্ন উঠছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে এত আশাবাদী তখন এত সাংসদের টিকিট কাটা কেন? তাহলে কি প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে ভয় পাচ্ছে গেরুয়া শিবির? বিজেপি সূত্রের দাবি, দলের প্রত্যেক সাংসদের পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে হয়েছে। আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আমজনতার মধ্যে কোনও প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা না থাকলেও স্থানীয় স্তরে অনেক সাংসদের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেকারণেই বহু সাংসদের টিকিট কাটা হয়েছে। তাছাড়া, দল এবার তারুণ নেতাদের প্রাধান্য দিয়েছে। তালিকায় ৪৭ জন প্রার্থীর বয়স ৫০-এর কম। তাই অনেক ‘বৃদ্ধ’ নেতার টিকিট কাটা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে দাউদাউ আগুন! গুরুতর জখম শাহজাহান-সহ ৪]
প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় জাতি সমীকরণের কথাও মাথায় রেখেছে বিজেপি। প্রথম দফার ১৯৫ আসনের মধ্যে তফসিলি জাতির প্রার্থী ২৭ জন। তফসিলি উপজাতির প্রার্থী ১৮ জন। ওবিসি প্রার্থীর সংখ্যা ৫৭। অর্থাৎ প্রায় ৩০ শতাংশ আসন ওবিসি সম্প্রদায়ের প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। রাহুল গান্ধী দেশজুড়ে প্রচার করে চলেছেন বিজেপি তফসিলি জাতি, ও অনগ্রসরদের গুরুত্ব দেয় না। সেই প্রচারের পালটা দিতেই সম্ভবত এত বেশি ওবিসি প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে।