সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগেই দাবি করে ছিলেন, তাঁর জন্ম জৈবিক প্রক্রিয়ায় নয়। তিনি পরমাত্মার প্রেরিত দূত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার বললেন, "২০৪৭ সালে বিকশিত ভারতের লক্ষ্যপূরণ না হওয়া পর্যন্ত পরমাত্মা তাঁকে ফিরিয়ে নেবেন না।" মোদি বোঝালেন, ‘বিকশিত ভারতে’র লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যেই তাঁর ধরাতলে আগমন।
দিন কয়েক আগে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, "আমি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছি যে আমাকে পরমাত্মা পাঠিয়েছেন। এত শক্তি আমি কোনও জৈবিক প্রক্রিয়া থেকে পাইনি। ঈশ্বর আমাকে দিয়ে কাজ করাতে চান, সেজন্য আমাকে এই শক্তি তিনিই দিয়েছেন। আমাকে সামর্থ্যও তিনি দিয়েছেন, সদিচ্ছাও তিনি দিয়েছেন, প্রেরণাও তিনিই দিচ্ছেন।”
[আরও পড়ুন: বৈষ্ণো দেবী যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত একই পরিবারের ৭ সদস্য, আহত ২০]
কী সেই উদ্দেশ্য? কেন পরমাত্মা পাঠালেন তাঁকে? আর এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেটাই ফাঁস করলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির দাবি, ঈশ্বর তাঁকে ২০৪৭-এ বিকশিত ভারতের লক্ষ্য পূরণের জন্য পাঠিয়েছেন। শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রী দাবি করছেন, "আমার পূর্ণ বিশ্বাস, যত দিন না সেই লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে, আমাকে পরমাত্মা ফিরিয়ে নেবেন না।” বস্তুত প্রধানমন্ত্রী বোঝাতে চাইলেন, ২০৪৭ পর্যন্ত ঈশ্বরের ইচ্ছায় তিনিই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। উল্লেখ্য, ২০৪৭-এ প্রধানমন্ত্রীর বয়স হবে ৯৬ বছর।
[আরও পড়ুন: ‘ভোট মিটলেই বিদেশ ভ্রমণে যাবে’, রাহুলকে খোঁচা মোদির]
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এই 'পরমাত্মা' দাবি নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলছেন, "এসব হাস্যকর কথা। আমাকে যদি কেউ এরকম বলত তাহলে বলতাম, এসব বাইরে কাউকে বলো না। লোকে হাসবে।" রাহুলের প্রশ্ন, "যাকে পরমাত্মা পাঠিয়েছেন, তিনি করোনার সময় যখন গঙ্গায় মৃতদেহ ভাসছিল, হাসপাতালের সামনে মৃতদেহ জমছিল, তখন তিনি থালা বাজাতে বলছিলেন কেন! যাকে পরমাত্মা পাঠিয়েছেন, তিনি বলেছিলেন, মোবাইল ফোনের আলো জ্বালাও।"