মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: কংগ্রেস হাইকম্যান্ড 'কটু' কথা বলতেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে বিজেপিতে যোগের টোপ দিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার! সুকান্তর বক্তব্য, তৃণমূলের বিরোধিতা করতে হলে কংগ্রেসে (Congress) থেকে করা যাবে না। কংগ্রেস থেকে বেরোতে হবে।
শনিবার উলুবেড়িয়ায় প্রচারে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, "অধীরদাকে (Adhir Ranjan Chowdhury) বলব কংগ্রেসে থেকে তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে লড়াই করা যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যদি লড়াই করতে চান, তাহলে সঠিক জায়গা বেছে নিন। আপনি যে বাড়িতে আছেন, সে বাড়িতে বিভীষণ বেশি। বিভীষণের বাড়ি ছাড়ুন, রামের বাড়ি আসুন।" সুকান্ত কার্যত সরাসরিই অধীরকে বিজেপিতে ডেকেছেন।
[আরও পড়ুন: যোগ্য তো? নথি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে রাজ্যের সব শিক্ষককে, জারি নির্দেশিকা]
উল্লেখ্য, এদিন সকালেই মল্লিকার্জুন খাড়গে অধীরের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, মমতা ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের অংশ। আর সেটা মানতে অধীর চৌধুরী বাধ্য। পালটা হাইকম্যান্ডের সঙ্গে সম্মুখসমরে নামার ইঙ্গিত দিয়েছেন অধীরও। তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন, "আমি দলের সৈনিক। বাংলায় দলকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি এবং করব। কেউ বাংলায় কংগ্রেসকে শেষ করার চেষ্টা করলে তাঁকে খাতির করতে পারব না।" অধীরকে হাইকম্যান্ডের এই কড়া বার্তা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ আবার বলছেন, "এই কড়া কথাটাই আগে বলার দরকার ছিল। অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে রাজ্যের কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে, আদতে বিজেপিকে অক্সিজেন দেওয়ার কাজ করছে। দিল্লির উচিত ছিল অনেক আগেই প্রদেশের নেতাদের একটা কড়া বার্তা দেওয়া। যা বলেছেন ঠিক আছে, অনেক বিলম্বিত বোধোদয়।"
[আরও পড়ুন: ভুয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে শিক্ষকতা! বাগুইআটির নামী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ]
বস্তুত কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি খাড়গের বার্তার পরই অধীর চৌধুরীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিজেপিও চাইছে সুযোগ বুঝে অধীরকে দলে টানতে। আর তৃণমূল বলছে, এতদিন তাঁরা যে অভিযোগ করছিলেন, সেটাই প্রমাণ হল। অধীরবাবু অবশ্য আগেই বলে দিয়েছেন, লোকসভায় হারলে রাজনীতি ছেড়ে বাদাম বেচবেন। সুতরাং তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও আলোচনা করতে হলে সেটা করতে হবে ৪ জুনের পরই।