রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: এক যুগেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে রাজনীতি থেকে কার্যত অবসর নিয়েছেন। বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে শারীরিক অসুস্থতা। নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন। সম্প্রতি বাড়িতেই তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। বুথে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা নেই। তাই চব্বিশের ভোটও সম্ভবত দিতে পারছেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। গত একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি ভোট দিতে পারেননি। শেষবার ভোট দিয়েছিলেন উনিশের লোকসভা নির্বাচনে। আর চব্বিশের নির্বাচনে দল AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনতার উদ্দেশে বুদ্ধবাবুর অডিও বার্তা প্রকাশ্যে এনেছিল। তাতে তিনি ধর্মনিরপেক্ষ, সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
একটা সময়ে তিনি ছিলেন ভোট সৈনিক। সিপিএম (CPM) প্রার্থী হিসেবে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে টানা পাঁচবার ভোটে জেতার রেকর্ড রয়েছে। তার দৌলতেই দুবার এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে পরাজয়ের পর সক্রিয় রাজনীতি থেকে ক্রমশই দূরে সরে যেতে থাকেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেডে(Brigade)বামেদের সমাবেশে গেলেও মঞ্চে ওঠেননি। মাঠের বাইরে গাড়িতে বসেছিলেন। তবে তাঁর উপস্থিতিই ছিল বামেদের মরা গাঙে বাড়তি অক্সিজেন।
[আরও পড়ুন: দুই স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ফের বিয়ের পিঁড়িতে স্বামী! দ্বিতীয় বউ প্রতিবাদ করতেই এ কী করল গুণধর?]
তার পর থেকে অবশ্য তাঁর শরীর খারাপ হতে থাকে। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে বার বার হাসপাতাল-বাড়ি করতে হয়েছে। আপাতত বাড়িতেই তিনি প্রায় হাসপাতালের মতো পরিকাঠামোয় রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বয়স সবে ৮০ ছুঁয়েছে। তবু বুথে গিয়ে ভোট দেওয়ার মতো শারীরিক পরিস্থিতি নেই। এদিকে, বয়স্ক নাগরিকদের জন্য চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বাড়ি থেকে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তা ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকদের জন্য। কাজেই বুদ্ধবাবু এই সুবিধা পাবেন না এবং তাই আবেদনও করেননি। ফলে কোনওভাবেই নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার মতো পরিস্থিতি নেই।
[আরও পড়ুন: ধর্ষণের পর ভিডিও ফাঁস, অন্যত্র বিয়ে ঠিক হতেই তরুণীকে অপহরণের চেষ্টা, চাঞ্চল্য মধ্যপ্রদেশে]
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা দক্ষিণ (Kolkata Dakshin) কেন্দ্রের ভোটার। এই কেন্দ্রে তাঁর দলের প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। তিনি অবশ্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর পাম অ্যাভিনিউর বাড়ি গিয়ে আশীর্বাদ নিয়ে এসেছেন আগেই। ভোটপরীক্ষায় তাঁকে সফল হওয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক।