ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘বুর্জোয়া’ কংগ্রেসের হাত ধরতে বাম ঐক্যে ফাটল ধরাতেও পিছপা নয় সিপিএম। হাত শিবিরের সঙ্গে ‘জোট ধর্ম’ পালন করতে গিয়ে বাম শরিককে হারাতেও রাজি তারা। পুরুলিয়া নিয়ে জোট জটে জ্বলছে বামেরা! একদিকে শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক ‘ঐতিহ্যের আসন’ ছাড়তে নারাজ। অন্যদিকে পুরুলিয়া কংগ্রেসকে ছাড়া হবে বলে কথা দিয়ে রেখেছে সিপিএম। সেখানে প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো প্রার্থী হচ্ছেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ফলে বিপাকে পড়েছে সিপিএম। তারা এবার কোনদিকে যায় সেদিকে তাকিয়ে বামফ্রন্ট শরিকরা।
আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, পুরুলিয়া কংগ্রেসকে ছাড়া হবে বলে কথা দিয়ে রেখেছে সিপিএম। ছাড়া না হলেও সেখানে কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো দাঁড়াচ্ছেন। ফরওয়ার্ড ব্লক এই পরিস্থিতি হবে বুঝেই আগেভাগে আসন নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা হবে না বলে জানিয়ে প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিংয়ে। এদিকে নেপাল মাহাতোর সঙ্গে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথা হয়েছে। নেপালের ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, তাঁর সঙ্গে জেলা সিপিএম নেতৃত্বের কথা হয়েছে। তারা ফরওয়ার্ড ব্লকের ফ্রন্ট প্রার্থী ধীরেন মাহাতোকে সমর্থন করছে না বলে জানিয়েছে। বলেছে, জোট শরিক কংগ্রেস প্রার্থীকেই তাঁরা সমর্থন করবে। যদিও ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমরা আশা করব ফ্রন্ট হিসাবে আমাদের প্রার্থীকেই সমর্থন করবে সিপিএম।”
[আরও পড়ুন: শান্তনু গাঁজাখোর, ভোট দেবেন না! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ দলেরই বিধায়কের, ভাইরাল অডিও]
এবার করণীয়? এই জটিল পরিস্থিতিতেই শরিকি আলোচনায় বসে মাথা ঠিক রাখতে পারেননি সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সেলিম। বিশেষ করে ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ের অনড় মনোভাবই তাঁর মুখ দিয়ে বলিয়ে দিয়েছে, “এবার কিন্তু আপনারা বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলছেন।” নরেনবাবুর জবাব ছিল, “কখনওই না। আমরা বামফ্রন্টগত লড়াইয়ে তো সমঝোতা করেই চলছি। ৩ শরিক ৩টি করে আসন চেয়েছি।” সবমিলিয়ে পুরুলিয়া নিয়ে জোট ক্রমশ জটিল হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: আচমকা বুকে ব্যথা, হাসপাতালে ভর্তি সব্যসাচী চক্রবর্তী]