সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রচার শেষ। আর শেষবেলায় সব শিবিরই প্রচারে ঝড় তুলতে মরিয়া ছিল। তবে তারই মধ্যে নজর কাড়ল দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূল সুপ্রিমোর ১২ কিলোমিটার পদযাত্রা। বৃহস্পতিবার কলকাতা দক্ষিণ ও যাদবপুরের দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে যাদবপুরের সুকান্ত সেতু থেকে গোপালনগর পর্যন্ত দীর্ঘ মিছিলে হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সায়নী ঘোষ, মহুয়া মৈত্র, বাবুল সুপ্রিয়-সহ দলের একাধিক তারকা ব্যক্তিত্ব। পদযাত্রা শুরুর আগে এদিন ছোট্ট জনসভা করেন মমতা। যদিও সুকান্ত সেতুতে মঞ্চ তৈরি থাকলেও সেখানে ওঠেননি তিনি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাইক্রোফোনেই জনতার উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। আর সেখান থেকে নরেন্দ্র মোদির ধ্যান নিয়ে ফের তোপ দাগলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ''৪৮ ঘণ্টার জন্য পাবলিসিটি স্টান্ট দেখাচ্ছেন।'' ফের প্রশ্ন তুললেন, ক্যামেরা নিয়ে ধ্যান করার কী দরকার?
বৃহস্পতিবার মালা রায় ও সায়নী ঘোষের সমর্থনে শেষবেলার প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গী ছিলেন মূলত মহিলা ব্রিগেড। দলনেত্রীর গতিতে পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটতে দেখা গেল মহুয়া মৈত্র, সায়নী ঘোষদের। তাঁকে শুভেচ্ছা, নমস্কার জানাতে মাঝেমধ্যেই রাস্তার দুদিক থেকে জনতা এগিয়ে আসছিলেন মিছিলের মাঝে। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের সামলে নিলেও জনতার 'কাছের মানুষ' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের সঙ্গে মিশে যাচ্ছিলেন। যেমনটা তিনি করে থাকেন।
যাদবপুরের সুকান্ত সেতু থেকে মালা রায়, সায়নী ঘোষের সমর্থনে পদযাত্রা মমতার। ছবি: সোশাল মিডিয়া।
দুপুর গড়িয়ে বিকেলের পরও চলছিল পদযাত্রা। টানা ১২ কিলোমিটার হেঁটে যখন গোপালনগরে এসে মিছিল থামল, তখনও জনসমাগম একই। সকলে ক্লান্ত, ঘর্মাক্ত। কিন্তু জনসংযোগে উৎসাহ একবিন্দুও কম নেই। সায়নী, মহুয়াদের দেখে মনে হচ্ছিল, এই তো সবে শুরু! আগামী ১ জুন শেষদফা ভোটের আগে শেষ প্রচারেও তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো বুঝিয়ে দিলেন, কলকাতায় জোড়াফুলের গড় অটুট।
[আরও পড়ুন: ভোটগণনায় কড়া নজরদারির সিদ্ধান্ত, বাংলায় আসছে ১৩৮ জন পর্যবেক্ষক]
শেষবেলার প্রচারে যখন এই দৃশ্য কলকাতায়, সেসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) কন্যাকুমারী পৌঁছে ধ্যানে বসার তোড়জোড় করতে দেখা গেল। পরনে তাঁর তামিল ঐতিহ্যবাহী সাদা-সোনালি ধুতি, সাদা উত্তরীয়। কন্যাকুমারীর (Kanyakumari) এক মন্দিরে পুজো দিয়ে আশীর্বাদ নিয়ে বিবেকানন্দ রকের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানেই আগামী ৪৮ ঘণ্টা ধ্যানমগ্ন হবেন প্রধানমন্ত্রী। আর তা নিয়ে এদিনও খোঁচা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বললেন, ''পাবলিসিটি স্টান্ট। নাহলে ধ্যানে বসার জন্য ক্যামেরা কী দরকার? জেনে রাখুন, বিজেপি ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি। তবু প্রচার করে, সব কাজ করেছে। সব ঠিক থাকলে বিজেপি আর ক্ষমতায় ফিরছে না।''