কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: ইউসুফ পাঠানের (Yusuf Pathan) বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। কারণ, পাঠানের হয়ে প্রচারে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই ছবিতে ছিলেন শচীন তেন্ডুলকরও। যার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনে নালিশও করে কংগ্রেস। বিষয়টি জানতে পেরেই পালটা দিলেন ইউসুফ পাঠান। বললেন, "অনেক মেহনত করে বিশ্বকাপ পেয়েছি। "
হাতে বিশ্বকাপ, পাশে শচীন তেন্ডুলকার। ইউসুফ পাঠানের এহেন ছবিতে ভরে গিয়েছে বহরমপুর লোকসভা এলাকা। ওই ছবিতেই দানা বেঁধেছিল বিতর্ক। বহরমপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের ভোট প্রচারে ওই ছবি ব্যবহারের বিরোধিতায় সরব হয় বিরোধীরা। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কমিশনকে অভিযোগ জানায় কংগ্রেস এবং বিজেপি। এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "ওইভাবে ছবি ব্যবহার করা যায় না। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করা হয়েছে। সে কারণেই নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে।" অন্যদিকে, বিজেপির পক্ষ থেকেও একই অভিযোগে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি (দক্ষিণ ) শাখারভ সরকার বলেন, "তৃণমূল নির্বাচনী বিধি নিষেধ মানছে না। সেই কারণে অন্যান্য ক্রিকেটারদের ছবি এবং বিশ্বকাপের ছবি ব্যাবহার করে প্রচার করছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত ছবিগুলি এখনই খুলে ফেলা।"
[আরও পড়ুন: নোটের বিছানায় শুয়ে সুখনিদ্রা! অসমে বিজেপির শরিক দলের নেতার ছবি ভাইরাল]
এ বিষয়টি শুনে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান বলেন, তিনি অনেক মেহনত করে বিশ্বকাপ পেয়েছেন। তাঁর বহু ভক্ত রয়েছে সারা দেশে। তাঁদের অধিকার রয়েছে ওই ছবি ব্যবহার করার। কিন্ত কান্দির কোথায় কীভাবে ছবি দেওয়া হয়েছে সেটা তিনি জানেন না বলেই দাবি তাঁর। কিন্তু তাঁর অনুমতি নাকি নেওয়া হয়নি। এবিষয়টি নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই দেখবে বলেই জানান ইউসুফ পাঠান। অন্যদিকে বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, "ইউসুফ পাঠান বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ের একজন সদস্য। কিন্তু ইউসুফ পাঠানের কোনও ছবি নিয়ে কারও যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই তাঁরা জানাবেন। তৃণমূল এমন কিছু করবে না যাতে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়।"