সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী (Shishir Adhikari) ও পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে (Sunil Kumar Mandal) দলত্যাগ বিরোধী আইনে চিঠি পাঠাল লোকসভার সচিবালয় (Lok Sabha Secretariat)। এছাড়াও চিঠি পাঠানো হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের সাংসদ কে রঘু রাম কৃষ্ণম রাজুকে। তাঁদের তিনজনকেই চিঠি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই উত্তর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত নভেম্বরে দলবদলের হিড়িক পড়েছিল তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন একাধিক সাংসদ, বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক ও মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি শিবিরে যোগ দিলেও অনেকেই তেমনটা করেননি। দল ছাড়লেও পদ ছাড়েননি অনেকেই। তাঁদের মধ্যে একজন সাংসদ সুনীল মণ্ডল। শুভেন্দু অধিকারীকে অনুসরণ করে গেরুয়া শিবিরের অংশ হলেও সাংসদ পদ ছাড়েননি তিনি। অন্যদিকে, শিশির অধিকারীকে বিজেপির মঞ্চে এবং বিজেপির (BJP) হয়ে ভোট প্রচারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সভায় দেখা গিয়েছিল। যদিও তিনি তিনি বিজেপির পতাকা হাতে তোলেননি।
[আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ঔপনিবেশিক, এখন এর প্রয়োজনীয়তা কী?’, কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের]
স্বাভাবিক ভাবেই এরপর থেকেই তৃণমূল শিবিরের সঙ্গে তাঁদের দূরত ক্রমেই বেড়েছে। তিনিও এখনও সাংসদ পদ ছাড়েননি। আর তা থেকেই ক্রমে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। আগেই এই দুই সাংসদের সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল। আগে ওম বিড়লার সঙ্গে এবিষয়ে কথাও বলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Saugata Roy)।
তিনি ছাড়াও একাধিক তৃণমূল নেতা এবিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন। গত মাসে স্পিকারের সঙ্গে ফোনে এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। জানিয়েছিলেন অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের আরজি। সেই সময়ই বিষয়টি দেখা হবে বলে জানিয়েছিলেন ওম বিড়লা।