সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লম্বা কুর্তি বিয়ের ভাল সম্বন্ধ আনে। তাই হাঁটুর নিচে কুর্তি পরতে হবে। কোনওভাবেই ছোট স্কার্ট, শর্টস বা স্লিভলেজ পোশাক পরা যাবে। হায়দরাবাদের সেন্ট ফ্রান্সিস কলেজ ফর উইমেন কর্তৃপক্ষ এই বিজ্ঞপ্তি জারি করতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে তেলেঙ্গানার শিক্ষামহলে। কলেজ কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় সরব হয়ে উঠেছে পড়ুয়া থেকে বিশিষ্ট মানুষরা। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কলেজে বিক্ষোভ এবং আন্দোলনও চলছে। তারপরও অবশ্য নিজেদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেনি কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ফের হামলা পাকিস্তানের, খুদে পড়ুয়াদের প্রাণ বাঁচালেন ভারতীয় জওয়ানরা]
গত ১ আগস্ট প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কলেজের গাইডলাইন মেনে না চললে কাউকেই ক্লাস করতে দেওয়া হবে না। এবং ওই নিয়ম চালু হওয়ার পর অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করা হচ্ছে। এর জেরেই প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ওই গার্লস কলেজের পড়ুয়াদের মনে। তাদের একাংশ পোশাকবিধির বিজ্ঞপ্তি ও কলেজে আসা ছাত্রীদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন। তাতে এই নিয়মকে প্রতিক্রিয়াশীল, মধ্যযুগীয় ও নিচ মানসিকতার বলে অভিহিত করা হয়েছে। ওই ভিডিওতে এক ছাত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, মহিলাদের ক্ষমতায়নের বিষয় নিয়ে যখন আমরা আলোচনা করছি। ঠিক তখনই বৈষম্যমূলক এই আচরণ সেই প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে।
জানোবিয়া থাম্বি নামে সেন্ট ফ্রান্সিস কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্রীও এই ফতোয়ার তীব্র বিরোধিতা করে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাঁর অভিযোগ, বছরের মাঝপথে নতুন পোশাকবিধি চালু করে পড়ুয়াদের সমস্যা ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি ক্লাসের প্রতিনিধিদের বোঝানো হয়েছে লম্বা কুর্তি পরলে ভাল বিয়ের প্রস্তাব আসবে। পাশাপাশি কোনও কিছুর পক্ষে দাঁড়ানো বা তার হয়ে সওয়াল করা ধর্মবিরোধী কাজ। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কেউ হাঁটুর এক ইঞ্চি উপরে স্কার্ট পরে এলেও তাকে ক্লাস করতে দেওয়া হচ্ছে না। বরং কলেজের বাইরে বের করে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে রীতিমতো ফিতে দিয়ে কুর্তির মাপ দেখছেন কলেজের নিরাপত্তারক্ষীরা। এই ধরনের মানসিক অত্যাচারের ফলে পড়ুয়ারা পড়াশোনা করতে পারছে না। বসতে পারছে না পরীক্ষাতেও।
[আরও পড়ুন: ‘মনোভাব না বদলালে চিদম্বরমের মতো অবস্থা হবে’, মমতাকে হুমকি বিজেপি বিধায়কের]
The post পোশাক নিয়ে মধ্যযুগীয় ফতোয়া, উত্তেজনা হায়দরাবাদের গার্লস কলেজে appeared first on Sangbad Pratidin.