সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একই পরিবারের সন্তান তাঁরা। প্রথমজন দুমাস আগে শহিদ হয়েছেন। সেই দুঃসহ শোকের বোঝা সইবার যন্ত্রণার মধ্যেই এল দ্বিতীয় আঘাত। সোমবার কাঠুয়াতে সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ওই পরিবারেরই আর এক সন্তান। মাত্র দুমাসের ব্যবধানে এত বড় দুই আঘাতে শোকে বিপর্যস্ত সেই পরিবার।
সোমবার বিকেলে কাঠুয়া (Kathua) জেলার মাছেদি এলাকায় রুটিন টহলদারি চালাচ্ছিল সেনাবাহিনী। ঠিক সেই সময় সেনার কনভয় লক্ষ্য করে অতর্কিতে হামলা চালায় একদল জঙ্গি। এই হামলায় শহিদ হন ৫ সেনা জওয়ান। তাঁদেরই একজন ২৬ বছরের আদর্শ নেগি। তাঁর খুড়তুতো দাদা ৩৩ বছরের প্রণয় নেগি শহিদ হয়েছিলেন গত ৩০ এপ্রিল। লেহতে পোস্টেড ছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ত্রিশঙ্কু ভোটের ফল, ফ্রান্সে মুখ পুড়ল প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর]
উত্তরাখণ্ডের থাটি ডাগার গ্রামের বাসিন্দা বলবন্ত নেগি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ''মাত্র দুমাস আগে আমরা এক ছেলেকে হারিয়েছি। দেশের সেবায় প্রাণ দিয়েছে সে। এবার আমরা জঙ্গি হামলায় প্রয়াত হল পাঁচজন। আদর্শ তাদেরই একজন।'' ২০১৮ সালে গারওয়াল রাইফেলসে যোগ দিয়েছিলেন আদর্শ। তাঁর বাবা কৃষক। পরিবারে রয়েছে মা, ভাই ও দিদি। ছোটবেলাতেই পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো ছিলেন তিনি। গারওয়াল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাশ করে সেনায় যোগ দেন রাইফেলম্যান হিসেবে। শারীরিক দিক থেকেও ছিলেন দারুণ ফিট। সেই তরুণটি শহিদ হওয়ার খবরে ভেঙে পড়েছে গোটা নেগি পরিবার।একই পরিবারের দুই সন্তানের দুমাসের মধ্যে শহিদ হওয়ার সংবাদে শোকের ছায়া নেমেছে গ্রামে।
এদিকে সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই হামলা চালানোর জন্য রীতিমতো ছক কষেছিল জঙ্গিরা। যে স্থানে হামলা চালানো হয়, সেখানকার রাস্তা ভালো ছিল না। ফলে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটারের গতিতে চলছিল কনভয়ের গাড়ি। ঠিক সেই সুযোগটাকে ব্যবহার করেই হামলা চালায় জঙ্গিরা। এদিকে মারণ হামলার পর ঘটনার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের ছত্রছায়ায় থাকা জঙ্গি সংগঠন কাশ্মীর টাইগার।