সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রীতির নজির বোধহয় একেই বলে। হোলির উৎসবে শামিল হতে হিন্দুদের জন্য সৌহার্দের হাত বাড়িয়ে দিলেন ইমাম। কারণ, জুম্মাবারেই যে হোলি। তাই হিন্দুদের জন্য রঙের উৎসবে মাতোয়ারা হওয়ার পথ প্রশস্ত করে দিলেন একটি অনুরোধে। স্থানীয় সব মসজিদগুলিকে তাঁর বিনীত অনুরোধ, দুপুরের দিকে জুম্মার নমাজে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। যাতে ওই সময় হিন্দু ভাইয়েরা হোলির আনন্দে ভাসতে পারেন। লখনউয়ের আইশবাগ ইদগা-র ইমাম মৌলানা খালিদ রশিদ ফিরঙ্গি মাহালি মঙ্গলবারই এলাকার সব মসজিদ কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানান, হোলি উপলক্ষ্যে শুক্রবার নমাজের সময়ে পরিবর্তন আনা হোক। বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হোলির রঙে মাতোয়ার হবেন সবাই। ইতিমধ্যেই লখনউয়ের ওই ইদগায় নমাজের সময় পালটে দুপুর ১.২৫ মিনিট পর্যন্ত করা হয়েছে।
[রঙের উৎসব হোলিতে মাতল বৃন্দাবনের বিধবারা, ভিডিও ভাইরাল]
তাঁর এই সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া লখনউয়ে। তিনি জানিয়েছেন, বছরে একবার আসে হিন্দুদের এই পার্বণ। নমাজের মতো হোলিও গুরুত্বপূর্ণ। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে অন্য ইমামরাও সহমত হয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। সব সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে যাতে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছয় সেই জন্যই এই প্রচেষ্টা। এমনটা হলে ইতিহাসে প্রথম হোলির জন্য নমাজের সময়ে পরিবর্তনের সাক্ষী থাকবে দেশ। প্রসঙ্গত, সোমবারই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হোলি উপলক্ষ্যে সরকারি আধিকারিক, সচিব-আমলা স্তরে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। তারপরই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে হোলির দিন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার হোলি উপলক্ষ্যে গোটা রাজ্যে পর্যাপ্ত জল এবং বিদ্যূৎ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য যোগী প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
[পিঁদাড়ে পলাশের বন পুরুলিয়া চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে শান্তিনিকেতনকে]
তবে ইমামের এমন সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি লখনউয়ের বাসিন্দারা। যেখানে হিংসা, গোষ্ঠী সংঘর্ষে জর্জরিত দেশ সেখানে রঙের উৎসবের জন্য নমাজের সময় বদলানোর জন্য কোথাও যেন মুসলিমরাও পরোক্ষে শামিল হয়ে গেলেন। রঙের ছোঁয়ায় ধুয়ে-মুছে যাক ধর্মের বিভেদ। মৌলবাদীরা শুনতে পাচ্ছেন কি?
[রক্তস্নাত সিরিয়ার পাশে নেটিজেনরা, হোলি বয়কটের ডাক]
The post হোলির রঙে মাতোয়ারা হোক হিন্দুরা, নমাজের সময়ে বদল চেয়ে নজির ইমামের appeared first on Sangbad Pratidin.