সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলনেত্রী তাঁকে ফেসবুক লাইভে ‘সব কথা’ বলতে বারণ করেছেন। দলের বৈঠকে একপ্রকার অন্য নেতাদের সামনেই তিরস্কার করেছেন। কিন্তু তাতেও ‘শিক্ষা’ হল না মদন মিত্রের (Madan Mitra)। দলের বৈঠকের পর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের ফেসবুকে হাজির কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। তবে, এবার কোনও দাবি বা মজার ছলে নয়, মদন মিত্রকে এদিন বেশ কিছু অভিযোগ, অনুযোগ করতে শোনা গেল। কথার ভাবে বুঝিয়ে দিলেন, দলনেত্রী যেভাবে তাঁকে তিরস্কার করেছেন তাতে তিনি খুশি নন। সায়ন্তিকাদের মতো নবাগতরা পদ পাওয়া সত্ত্বেও তিনি যেভাবে ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন, তাতেও তিনি খুশি নন।
এদিন ফেসবুক লাইভে মদন মিত্র অনুযোগের সুরে জানিয়ে দিলেন, আর সেই মদনকে পাওয়া যাবে না, যাকে কথায় কথায় পাওয়া যেত। কারণ, “দিদির কাছে মদন মিত্রের ফেসবুকের থেকে ফেসভ্যালুর দামটা বেশি। কোথাও কোনও দাগ নেই, কাটা, ছেঁড়ার দাগ নেই।” মদনের দাবি দিদি তাঁকে ফেসবুক নিয়ে কিছু বলেননি। তবে, সুব্রত বক্সী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা বলেছেন ফেসবুক লাইভের মান উন্নত করতে। কারণ এটা অনেক লোকে দেখে। কামারহাটির বিধায়ক বলছেন, ঠিক এই কারণেই তাঁকে আগামিকাল থেকে আর পুরনো অবতারে দেখা যাবে না। অর্থাৎ, দলের নির্দেশেই আগামীদিনে আরও সতর্ক হবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: এখন এসব নিয়ে ভাবার সময় নয়! মুকুল অস্বস্তি এড়াতে মরিয়া বিজেপি]
এতো গেল ফেসবুক। দলের সাংঠনিক রদবদল নিয়েও এদিন রীতিমতো অনুযোগের সুর শোনা গিয়েছে মদনের মুখে। আসলে, মদন মিত্র মমতার (Mamata Banerjee) পুরনো সৈনিক। নিজের বা দলের কঠিন সময়ে দল ছাড়েননি। একুশের নির্বাচনে ছুটিয়ে প্রচার করেছেন। জিতে বিধায়কও হয়েছেন। কিন্তু মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি। হয়তো ভেবেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় না রাখলেও দলে নিশ্চয় কোনও পদ দেবেন। কিন্তু এদিন দেখা গেল একগুচ্ছ রদবদল হলেও মদন কোনও বড় পদ পাননি। তাতেই সম্ভবত ‘অভিমান’ হয়েছে কামারহাটির বিধায়কের। এদিন ফেসবুক লাইভের শুরুতেই সায়নী (Sayoni Ghose), অভিষেক, ঋতব্রতদের মতো নতুন পদাধিকারীদের একদিকে যেমন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তেমনি খোঁচাও দিয়েছেন। অভিমানি সুরে বলেছেন, ‘এত দিন দিদির ডিপ ডিফেন্সে আমি জাগ্রত ছিলাম। এ বার থেকে অভিষেকের ডিফেন্সেও আছি।’’ কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে সায়নী-সায়ন্তিকাদের উদ্দেশে। বলেছেন,”সায়ন্তিকা দলের সাধারণ সম্পাদিকা! ভাবা যায়। কী হয়ে যাচ্ছে পার্টিটা। ও লাভলি।” মদনের এই ফেসবুক লাইভ কিন্তু প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে,সত্যিই মন থেকে সবকিছু ‘লাভলি’ বলে মেনে নিচ্ছেন তো কামারহাটির বিধায়ক? তবে, অনুযোগ সত্ত্বেও তিনি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ, সেকথা বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যর প্রাক্তন মন্ত্রী।