স্টাফ রিপোর্টার: হাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময়। স্রেফ রাত পোহানো বাকি। তারপরই জীবনের সবথেকে বড় পরীক্ষা দেবে রাজ্যের প্রায় ১০ লক্ষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। যা ঘিরে সাজো সাজো রব রাজ্যের সর্বত্র।
যারা পরীক্ষা দেবে তারা তো বটেই, ঘুম ছুটেছে তাদের অভিভাবকদেরও। আর সকলে যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসনও।
কয়েক ঘণ্টা পরই শুরু হবে মাধ্যমিকের প্রথম ভাষার পরীক্ষা। শেষ মুহূর্তে সাজেশনে চোখ আটকে ছাত্রছাত্রীদের। অভিভাবকরা কেউ পড়াতে সাহায্য করছেন, কেউ আশীর্বাদী ফুল আনতে ছুটছেন মন্দির। কেউ যাচ্ছেন আল্লার কাছে দোয়া মানতে। সব মিলিয়ে রাজ্য জুড়ে অতিরিক্ত তৎপরতা। কলকাতা- রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মাধ্যমিক কেন্দ্র তো বটেই তার আশপাশ অঞ্চলেও উচ্চস্বরে মাইক বা লাউড স্পিকার বাজানো যাবে না। এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ এলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কড়া সতর্কবার্তা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে বারংবার মনে করিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। শিক্ষকরাও কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না। জেলার কয়েকটি স্কুলে মেটাল ডিটেক্টর বসানোর খবরও মিলছে।
রয়েছে যানবাহন সংক্রান্ত সুবিধা অসুবিধার বিষয়। পরীক্ষা উপলক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করেছে পরিবহন দপ্তর। রয়েছে জলপথ ও স্থলপথে অতিরিক্ত অন্যান্য পরিবহণ ব্যবস্থা। জেলার পাশাপাশি কলকাতার জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। টালা ব্রিজ বন্ধ থাকার কারণে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় থাকবে। যাতায়াতের সমস্যা হলে সামনে যে ট্রাফিক পুলিশকর্মী থাকবেন, তাঁর কাছেই যেন পরীক্ষার্থী বা তার অভিবাবকরা যান। তিনি সাহায্য করবেন।
[আরও পড়ুন: নিরাপত্তা ছাড়াই বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে কাজ, তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু যুবকের]
উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার, সিঁথি ও তার আশপাশের অঞ্চলের ১৭টি স্কুলকে লালবাজার পক্ষ থেকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্কুলগুলিতে যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আসবে, তাদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য পুলিশের পক্ষে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রুট। পুলিশ জানিয়েছে, শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয় যেতে গেলে চিড়িয়া মোড় থেকে খগেন চ্যাটার্জি স্ট্রিট ও কাশীপুর রোড, বাগবাজার, সেন্ট্রাল এভিনিউ হয়ে শ্যামপুকুর স্ট্রিট পৌঁছানো যাবে। ডাফ হাই স্কুল ফর গার্ল, টাউন স্কুল, শ্যামবাজার বালিকা বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ওই আগের রুট অথবা বেলগাছিয়া রোড থেকে শ্যামবাজার হয়ে ভূপেন বোস এভিনিউ ধরে বাগবাজারে পৌঁছানো যাবে। রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুল, কাশিমবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ইনস্টিটিউশন ফর গার্লস স্কুলের ক্ষেত্রে চিড়িয়া মোড় থেকে পাইকপাড়া, রাজা মনীন্দ্র রোড হয়ে বেলগাছিয়া ব্রিজ পেরিয়ে ক্যানাল ওয়েস্ট রোড ধরে যাওয়া যাবে।
The post মাধ্যমিকের আগে চিন্তার কারণ টালা ব্রিজ, যানজট সামলাতে তৎপর প্রশাসন appeared first on Sangbad Pratidin.