সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। তাই জলসমাধিতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন পরমহংস আচার্য মহারাজ (Mahant Paramhansa)। কিন্তু পুলিশি হস্তক্ষেপে ভেস্তে গেল তার জলসমাধির পরিকল্পনা।
গান্ধীজয়ন্তীর দিনে সরযূ নদীতে জলসমাধির হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে প্রশাসন বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে আচার্য মহারাজের পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। সরকারের তরফে তাঁর উদ্যোগ আটকাতে তাঁকে গৃহবন্দি করার সিদ্ধান্ত নেয় যোগী সরকার। ফলে জলসমাধির পরিকল্পনা কার্যকর হয়নি। বদলে গৃহবন্দি অবস্থায় বাড়ির মধ্যেই বোতলবন্দি সরযূর জলে নাক অবধি ডুবিয়ে প্রতীকী প্রতিজ্ঞা রক্ষা করেন। পূর্ব পরিকল্পনামতো শনিবার দুপুরে তাঁর জলসমাধিতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আগে সকালেই তাঁকে গৃহবন্দি করে সরকার।
[আরও পড়ুন: গান্ধী জয়ন্তীতে উত্তপ্ত কাশ্মীর, একইদিন তিন এলাকায় জঙ্গি হানা, মৃত্যু আম নাগরিকের]
কিছুদিন আগেই প্রশাসনকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে এই ধর্মগুরু দাবি তোলেন, দেশকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় এটিকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা। এবং কেন্দ্রের কাছে তাঁর দাবি, দেশের মুসলিম এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব সরকারিভাবে খারিজ করতে হবে। এই দাবিতেই তিনি শনিবার জলসমাধির পরিকল্পনা করেছিলেন।
বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন (Uttar Pradesh Election 2022)। আর চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে এটাই তাদের লিটমাস টেস্ট। সে কথা মাথায় রেখেই ঘর গোছাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এমন পরিস্থিতিতেই প্রকাশ্যে এসেছে জগৎগুরু পরমহংস আচার্য মহারাজর এই মন্তব্য। শোনা গিয়েছে, এর আগেও এই দাবিতে তিনি টানা পনেরো দিন অনশন করেছিলেন। পরে অমিত শাহর আশ্বাসে নাকি অনশন ভাঙেন।
[আরও পড়ুন: লাদাখে এখনও মোতায়েন প্রচুর চিনা সেনা, স্বীকার করে নিলেন সেনাপ্রধান নারাভানে]
এর আগে পুণেয় পুলিশ সংগঠনের এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত দাবি করেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকই আসলে হিন্দু। কেননা তাদের পূর্বপুরুষ এক। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হানাদারদের সঙ্গেই ইসলাম ধর্ম ভারতে এসেছিল। এটাই ইতিহাস। আর সেটাকে এভাবেই দেখা উচিত।”