সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেম আর ঘৃণার মধ্যে ফারাক কতটুকু? বোধহয় সামান্যই। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) এক আমলার ছেলে প্রেমিকার সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে তাঁর পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিতে বললেন চালককে! এমনই ভয়াবহ ঘটনায় শিউরে উঠেছে দেশ। মেয়েটি সর্বাঙ্গে চোট ও ভাঙা পা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এদিকে প্রভাবশালী বাবার সাহায্যে ছেলেটি পুলিশকে মামলা দায়ের করা থেকেও আটকাতে চেয়েছে বলে অভিযোগ। মেয়েটির একটি পোস্টকে ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে।
জানা গিয়েছে, প্রিয়া সিং নামের ওই তরুণী তাঁর ইনস্টাগ্রামে পুরো ঘটনাটি তুলে ধরেছেন। জানিয়েছেন, অভিযুক্ত আশাজিৎ ১১ ডিসেম্বর ভোর ৪টের সময় পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে তাঁকে ডেকে পাঠান। এর পরই তাঁর সঙ্গে ‘অদ্ভুত’ আচরণ করতে শুরু করেন এবং তাঁকে আলাদা ডেকে কথা বলতে চান। সঙ্গে ছিল এক বন্ধু। সেই বন্ধুও প্রিয়াকে অপমান করতে থাকেন।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টের নির্দেশে CCTV সরতেই হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয়র কেবিনে মেয়ে ও দাদা, কী কথা হল?]
লাঞ্ছনার তখনও অনেক বাকি। খানিক পরে আশাজিৎ মারতে শুরু করেন প্রিয়াকে। তাঁর গলা টেপার পাশাপাশি হাত ধরে মুচড়ে দেন। এমনকী চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে যান কিছুটা পথ। এমন পাশবিক আচরণে অপমানিত প্রিয়া কোনও মতে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে চান। কিন্তু প্রেমিকের গাড়িতেই যে রয়েছে তাঁর ফোন ও ব্যাগ। সেটা আনতে সেদিকে যেতেই আশাজিৎ তাঁর চালককে চেঁচিয়ে নির্দেশ দেন, প্রেমিকার পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিতে। চালক তাই করেন। শেষপর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
প্রিয়ার ডান পা ভেঙেছে। সেখানে বসেছে রড। সমস্ত শরীরে যন্ত্রণা ও ক্ষতচিহ্ন। বিশেষ করে হাত, পিঠ ও পেটের ক্ষত বেশ গভীর। সাড়ে চার বছরের প্রেমিকের এমন আচরণে হতভম্ব তিনি। এদিকে পুলিশ নাকি অভিযোগ নিতে চাইছে না। আমরা তাঁর ক্ষমতাবলেই এমন করতে পারছেন বলে অভিযোগ। তবে সোশাল মিডিয়ার পোস্টের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এফআইআর দায়ের হয়েছে। কিন্তু এখনও কেউ গ্রেপ্তার তো হননিই। উলটে শাসানো চলছে। তুলে নিতে হবে অভিযোগ। সব মিলিয়ে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য বেড়েই চলেছে।